Advertisement
১০ মে ২০২৪

ভাঙড়-কাণ্ডে গ্রেফতার ৭

ভাঙড়-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাতেই মোবাইলের টাওয়ারের সূত্র ধরে সাঁতরাগাছি থেকে গ্রেফতার করা হয় বেঁওতা-১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সত্যজিত্ ওরফে পাঁচু মণ্ডলকে। গ্রেফতার করা হয় আরও ৬ জনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন এবং অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ধৃতদের আজ বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।

অভিযুক্ত পাঁচু মণ্ডকে বারুইপুর আদালতে তোলা হচ্ছে। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।

অভিযুক্ত পাঁচু মণ্ডকে বারুইপুর আদালতে তোলা হচ্ছে। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৫:২০
Share: Save:

ভাঙড়-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাতেই মোবাইলের টাওয়ারের সূত্র ধরে সাঁতরাগাছি থেকে গ্রেফতার করা হয় বেঁওতা-১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সত্যজিত্ ওরফে পাঁচু মণ্ডলকে। গ্রেফতার করা হয় আরও ৬ জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই ৬ জন হল পাঁচু মণ্ডলের দুই ছেলে তাপস ও রঞ্জিত্, শান্তনু ঘোষাল, বাপি গাজী, দীপঙ্কর এবং নিমাই বিশ্বাস। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন এবং অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ধৃতদের আজ বারুইপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

শনিবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দিনভর উত্তপ্ত ছিল ভাঙড়। এলাকা ও জমি দখলকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন ধরেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। ওই দিন সকালে তা চরম আকার ধারণ করে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল হতেই বেঁওতা পঞ্চায়েত এলাকায় শুরু হয় বোমাবাজি। চলে দু’পক্ষের মধ্য গুলির লড়াই। এই ঘটনায় নিহত হন রমেশ ঘোষাল ও বাপন মণ্ডল নামে দুই তৃণমূলকর্মী। ঘটনার নেপথ্যে সেই আরাবুল ইসলাম। ভাঙড়ে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী— একটি আরাবুলের এবং অন্যটি দলের ব্লক সভাপতি ওহিদুল ইসলামের। পুলিশ জানিয়েছে, জমি কেনাবেচা ও এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই ওই দিনের ঘটনার সূত্রপাত। হামলার অভিযোগ ওঠে আরাবুল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, আরাবুলের অনুগামীরা রমেশের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। আগুন জ্বালিয়ে দেয় তাঁর বাড়িতেও। এর পর পাঁচু মণ্ডলের বাড়িতে চড়াও হয় তারা। কিন্তু ঘটনার আঁচ পেয়েই ছেলেকে নিয়ে পালান পাঁচুবাবু। ওই দিন বাপন মণ্ডল নামে এক যুবকেরও গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ছিল নিজেদের লোকের ছোড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে বাপনের। কিন্তু পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচু মণ্ডলের বাড়ির ছাদ থেকেই বাপনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বাপনের পরিবার পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। অন্য দিকে, রমেশের পরিবার দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এই দুই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচু মণ্ডল-সহ সাত জনকে শনিবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE