কলকাতা বিমানবন্দরে সিঙ্গাপুর সেনাবাহিনীর বিমান।
কাঠমাণ্ডুতে উদ্ধারের কাজ সেরে ফিরছিল সিঙ্গাপুর সেনাবাহিনীর বিমান। কলকাতা থেকে প্রায় ১১১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম আকাশ থেকে সেনাবাহিনীর সেই বিমানের পাইলট জরুরি বার্তা পাঠালেন কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে। তিনি জরুরি অবতরণ করতে চান। সেই মতো বিমানটি মঙ্গলবার দুপুরে জরুরি অবতরণ করে। পরে বিমানের ত্রুটি সারিয়ে তা উড়ে যায় সিঙ্গাপুরে। মঙ্গলবার দুপুর তখন ১২টা ৫৫ মিনিট। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝ আকাশে বিমান থেকে তেল লিক করে পড়ে যাচ্ছে বলে বিমানটির ককপিটে সতর্কবার্তা আসে। এই অবস্থায় কাঠমাণ্ডু থেকে সিঙ্গাপুরের সেনাবাহিনীর ঘাঁটি পর্যন্ত উড়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চাননি পাইলট। কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) অফিসারেরা খবর পেয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন। অ্যাম্বুল্যান্স, দমকল-সহ সমস্ত ব্যবস্থা রাখা হয়। আশঙ্কা ছিল, তেল ছড়াতে ছড়াতে বিমান রানওয়ের মাটি ছোঁওয়ার সময়ে আগুন লেগে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। এ দিন লকহিড হারকিউলিস বিমানটি অবশ্য নির্বিঘ্নে নেমে আসে মাটিতে। সেই বিমান থেকে মাটিতে তেল লিক করে পড়ে যাচ্ছে এমন কোনও প্রমাণ অবশ্য পাওয়া যায়নি। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, পাইলট-সহ বিমানে মোট ১৫ জন সেনা অফিসার ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সেনাবাহিনীর এক ইঞ্জিনিয়ারও। কলকাতায় সি ৫ পার্কিং বে-তে বিমানটি রেখে অনেক ক্ষণ ধরে বিমানটি সারানোর কাজ চলে। পরে দুপুরে তা উড়ে যায় সিঙ্গাপুরে।
ঠিক কী হয়েছিল বিমানে?
সূত্রের খবর, বিমানের দুই ডানার নীচে তেলের দু’টি ট্যাঙ্ক থাকে। আকাশে জ্বালানি যখন খরচ হয় তখন দু’দিকের দু’টি ট্যাঙ্ক থেকে সমান পরিমাণ জ্বালানি দু’টি ইঞ্জিনে সরবরাহ হতে থাকে। এক দিকের ট্যাঙ্ক থেকে যদি বেশি জ্বালানি খরচ হয়ে যায়, তখন দু’দিকের ডানার ওজন দু’রকম হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে আকাশে বিমানের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তখন ‘তেল লিক হচ্ছে’ বলে ককপিটে পাইলটকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। সিঙ্গাপুর সেনাবাহিনীর বিমানের ক্ষেত্রে এ দিন তেমনই কিছু ঘটেছিল বলে কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy