গোয়ায় ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেরা, এফআইআর স্মৃতির

একটি বেসরকারি সংস্থার ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেরা লাগানোর অভিযোগ আনলেন খোদ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ায় পানাজি থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে পর্যটন কেন্দ্র কালাঙ্গুটে এলাকায়। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এ দিনই গোয়া পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সূত্রের খবর, দু’দিনের সফরে গোয়ায় গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সেখানে তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার কাপড়ের দোকানের ট্রায়াল রুমে গিয়েছিলেন। তখনই তিনি লক্ষ করেন, ট্রায়াল রুমের দিকে তাক করে একটি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় তিনি তৎক্ষণাৎ বিষয়টি তাঁর স্বামীকে জানান। এর পরে তাঁরা ওই দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান। দেখা যায়, সেই ফুটেজে তাঁর ছবি স্পষ্ট ধরা পড়েছে। এর পরেই বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানান।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, ট্রায়াল রুমের বাইরে ক্যামেরাটি লাগানো ছিল। কিন্তু সেটির মুখ ছিল ট্রায়াল রুমের দিকে। যার ফলে ভিতরের ছবি এই ক্যামেরায় ভাল ভাবেই ধরা পড়ে। ওই দোকানের কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দোকানের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে দোকানের কর্মীদেরও। ট্রায়াল রুমের বাইরে যে ক্যামেরাটি লাগানো রয়েছে সেটিতে গত চার মাসের ফুটেজ মিলেছে। যাতে মহিলাদের পোশাক পরিবর্তনের সময়ের চিত্র স্পষ্ট ধরা পড়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন কালাঙ্গুটের বিধায়ক মিচেল লোবো। ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত করে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য শামিনা সাফিক বলেন, “মহিলাদের কোনও ছবি ইতিমধ্যে বাইরে পাচার হয়েছে কি না তার তদন্ত আগে হওয়া উচিত।”