বাঘের মুখোমুখি। ছবি: পিটিআই।
শখ ছিল খুব কাছ থেকে সাদা বাঘের ছবি তোলার। সে জন্য বহু বাধা পেরিয়ে পৌঁছেও গেলেন বাঘের খাঁচার মধ্যে। কিন্তু শখ মেটাতে পারলেন না। বাঘের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মৃত্যু হল তাঁর।
ঘটনাস্থল: রাজধানীর এক চিড়িয়াখানা। সময়: দুপুর দেড়টা।
মঙ্গলবার দিল্লিতে এমনই কাণ্ড ঘটল এক যুবকের সঙ্গে। তবে, কী ভাবে তিনি ওই বাঘের খাঁচায় পৌঁছলেন তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানিয়েছেন, এই বাঘের খাঁচায় লাফিয়ে নিজেই ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। অন্যদের বক্তব্য, খাঁচায় পড়ে যান ওই যুবক। চিড়িয়াখানার এক রক্ষী রিয়াজ আহমেদ খান অবশ্য বলেন, কোমর-সমান উঁচু পাঁচিল টপকে ঝোঁপের বাধা কাটিয়ে পরিখা ঘেরা সাদা বাঘের সামনাসামনি চলে যান বছর কুড়ির ওই যুবক। তবে বাঘটি প্রথমে ওই যুবককে আক্রমণ করেনি। বাঘটি বেশ কিছু ক্ষণ তাঁর দিকে অপলকে তাকিয়ে ছিল বলে জানিয়েছেন সে সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত দর্শকেরা। চিড়িয়াখানার রক্ষীরা খাঁচার পাঁচিলে ধাক্কা দিতে শুরু করলে চঞ্চল হয়ে ওঠে বাঘটি। ঘটনা দেখে ভিড় জমতে শুরু করে খাঁচার চারপাশে। হঠাত্ই ভিড়ের মধ্যে থেকে বাঘটিকে লক্ষ করে এক জন ঢিল ছোড়ে। এর পরেই বাঘটি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। যুবকের ঘাড় ধরে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে দূরে নিয়ে যায় বাঘটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, নিরস্ত্র যুবকটিকে যখন বাঘটি টেনে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন রক্ষীরা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দেখছিল। অভিযোগ, রক্ষীদের কারও কাছে বাঘটিকে বেহুঁশ করার মতো কোনও অস্ত্র ছিল না।
এই ভয়াবহ ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেছেন চিড়িয়াখানার এক দর্শক। ঘটনার পরে বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও খাঁচা থেকে ওই যুবকের মৃতদেহ বের করে আনতে পারেননি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতেও নারাজ তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy