সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে তৃণমূলের ধর্না। ছবি: শৌভিক দে।
সল্টলেকে সিবিআই দফতরের বাইরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ধর্নায় বসেছিল তৃণমূল। দিনভর ধর্নার পরে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই পৌনে ৪টা নাগাদ ধর্না ওঠে।
সারদা-অস্বস্তি কাটাতে অবশেষে সিবিআই-য়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলনে নামল তৃণমূল। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন খোদ রাজ্যের আইন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ শুরু হয় তৃণমূলের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি। শাসক দলের মহিলা সংগঠনের শদু’য়েক কর্মীর এই কর্মসূচির জন্য সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে ছিল কড়া নিরাপত্তা। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ। ছিল প্রচুর পরিমাণে মহিলা পুলিশও। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ধর্নায় যোগ দেন বিধাননগর পুরসভার পুরপ্রধান কৃষ্ণা চক্রবর্তী। বুধবার তাঁর স্বামী তথা তৃণমূল নেতা সমীর চক্রবর্তীকে জেরা করে সিবিআই। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, তৃণমূল সাংসদ সৃঞ্জয় বসু এবং সমীর চক্রবর্তীকে আজ জেরা করা হবে না। তবে বৃহস্পতিবার সকালে আরও এক দফা জেরা করা হয় বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষকে।
ধর্নাস্থল থেকে সিবিআই-কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন,
“সারদা কাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতে চাইছে সিবিআই। এর জন্য তদন্তের অভিমুখ বদল করা হচ্ছে। নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত না করে উপনির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতে সিবিআইকে ব্যবহার করছে বিজেপি।” তবে সিবিআই-য়ের তদন্ত নিয়ে রাজ্যের আইন প্রতিমন্ত্রীর ধর্না দেওয়াকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সূজন চক্রবর্তী বলেন, “আইনমন্ত্রী নিজেই আইন ভাঙছেন। তৃণমূল চায় না দোষীরা ধরা পড়ুক।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীরও দাবি, আইন ভাঙছেন আইনমন্ত্রী। তাঁর মতে, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদা কাণ্ডের তদন্তে করছে সিবিআই। সেই তদন্তের বিরোধিতা করছেন রাজ্যের আইন প্রতিমন্ত্রী। এটি আইন ভাঙারই সামিল।” তাঁরও দাবি, প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতে চাইছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy