কলকাতা হাইকোর্ট। —নিজস্ব চিত্র।
বার অ্যাসোসিয়েশনের ছুটির আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ যে বার অ্যাসেসিয়েশন আমল দিতে নারাজ, শুক্রবারে হাইকোর্টের চিত্রই তার প্রমাণ। হাইকোর্ট সূত্রের খবর, এ দিন ৮০ শতাংশেরও বেশি আইনজীবী কাজে যোগ দেননি। হাইকোর্টের প্রায় সব কটি অফিসই বন্ধ। যার ফলে বিচারপতিরা উপস্থিত থাকলেও বেশিরভাগ মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে গিয়েছে।
শুক্রবার হোলির দিনে ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য রাজ্য সরকারি কর্মীরা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা চার দিন ছুটি উপভোগ করছেন। এই নিয়েই হোলির দিনে হাইকোর্ট বন্ধ রাখার প্রস্তাব পাঠায় বার অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। এর পরেই হোলির দিনে হাইকোর্ট বন্ধ রাখা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে এক প্রকার লড়াই শুরু হয়ে যায়।
হাইকোর্ট সূত্রের খবর, শুক্রবারই সব থেকে বেশি মামলা হাইকোর্টে থাকে। ছুটি হলে সেগুলি অহেতুকই পিছিয়ে যাবে। সে কারণে প্রধান বিচারপতি এই দিনটিতে ছুটি দিতে নামঞ্জুর। এ দিন হাইকোর্টে স্বাভাবিক কাজ কর্ম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু তাতে নড়ে বসে বার অ্যাসোসিয়েশ। সরকারি ছুটি ঘোষণা হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁদেরকে কাজে যোগ দিতে হবে তা নিয়ে বেঁকে বসে তাঁরা। পরে প্রধান বিচারপতি রবিবার বা অন্য কোনও ছুটির দিনে কাজ করার পরিবর্তে এই দিনটি ছুটি মঞ্জুর করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাতে বার অ্যাসোসিয়েশন রাজি হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy