সামনের বছর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার পৌঁছে যেতে পারে ৮.৫ শতাংশে। ২০১৪-১৫ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষার দাবি তেমনই। বর্তমান অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার থাকবে ৭.৪ শতাংশের কাছাকাছি। সমীক্ষা বলছে, কয়েক বছরের মধ্যেই ভারত পৌঁছে যেতে পারে দুই অঙ্কের বৃদ্ধির হারে। অর্থমন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, দেশের মানুষ আর্থিক সংস্কারের পক্ষে যে ভোট দিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজার স্থিতিশীল হওয়ায় ভারত এ বার সেই পথে দ্রুত হাঁটতে পারবে। নতুন করে ধার না করে সরকারের পক্ষে বিনিয়োগ বাড়ানোও সম্ভব হবে।
দেশের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রক্ষণ্যম বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদে বেসরকারি বিনিয়োগই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হবে। কিন্তু, এখন সরকার বিনিয়োগে জোর দেবে, যাতে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা যায়। রাজকোষ ঘাটতির ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার কথা ভুললে চলবে না। এ বছর রাজকোষ ঘাটতির (ফিসকাল ডেফিসিট) পরিমাণ ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা, অর্থাৎ মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪.১ শতাংশতেই থাকবে বলে আশা। চালু খাতে ঘাটতির (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট) থাকবে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ১.৩ শতাংশে। সমীক্ষায় পরামর্শ, যোজনা-বহির্ভূত ব্যয় কাটছাঁট করতে হবে এবং খাদ্যে ভর্তুকির পরিমাণ বিষয়েও নতুন চিন্তাভাবনা প্রয়োজন।
সমীক্ষা বলছে, ভারতকে বেসরকারি বিনিয়োগের উপযুক্ত করে তোলার জন্য কর ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্য, স্বচ্ছ এবং অনুমানযোগ্য করে তুলতে হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্তব্য তাদের আর্থিক নীতিকে একেবারে ছকে বেঁধে ফেলা, যাতে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক দেখেই ব্যাঙ্কের সম্ভাব্য আর্থিক নীতি আঁচ করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।
• অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশ
• রাজকোষ ঘাটতি (ফিসকাল ডেফিসিট) মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৪.১ শতাংশ
• চালু খাতে ঘাটতি (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট) মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ১.৩ শতাংশ
• রাজস্ব ঘাটতি (রেভিনিউ ডেফিসিট) মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২.৯ শতাংশ
• শিল্প-উত্পাদন সূচক (ইনডেক্স অফ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন) বৃদ্ধির হার ২.১ শতাংশ * এপ্রিল-ডিসেম্বর ১৪
• বিদ্যুত উত্পাদন বৃদ্ধির হার ৯.৯ শতাংশ * এপ্রিল-ডিসেম্বর ১৪
• পাইকারি মূল্যসূচকের (হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স) নিরিখে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩.৪ শতাংশ * এপ্রিল-ডিসেম্বর ১৪
• ভোগ্যপণ্য মূল্যসূচকের (কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স) নিরিখে মূল্যবৃদ্ধির হার ৬.২ শতাংশ * এপ্রিল-ডিসেম্বর ১৪
• রফতানি বৃদ্ধির হার ৪ শতাংশ * এপ্রিল-ডিসেম্বর ১৪
• আমদানি বৃদ্ধির হার ৩.৬ শতাংশ * এপ্রিল-ডিসেম্বর ১৪
• বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় ৩২৮.৭ বিলিয়ন ডলার
• খাদ্যশস্য উত্পাদন ২৫৭.১ মিলিয়ন টন *দ্বিতীয় অ্যাডভান্স এস্টিমেট
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy