ব্রড-অ্যান্ডারসনদের সুইংয়ে নাজেহাল টিম ধোনি। টেলিভিশনের চ্যানেল বদলাবার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যাচ্ছে ভারতের বিশ্বসেরা টপ অর্ডার। পুরুষ দলের সেই লজ্জার ‘বীরগাথা’-র মধ্যে সবাই যখন প্রায় ভুলতে চলেছিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অস্তিত্ব, তখন সেই ইংল্যান্ডকেই তাঁদের ঘরের মাঠে হারিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের গৌরব কিছুটা পুনরুদ্ধার করল মিতালী রাজের ভারত। সিরিজের এক মাত্র টেস্টে ইংল্যান্ডকে চার উইকেটে হারালেন তাঁরা।
ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল শেষ টেস্ট খেলেছিল ৮ বছর আগে, সেই ২০০৬ সালে। এর পর ওয়ান ডে, টি-২০ খেললেও মহিলা ক্রিকেট দলকে টেস্ট খেলাতে যেন ভুলেই গিয়েছিল বিসিসিআই। এ বারের এই দলে টেস্ট খেলা ক্রিকেটার মাত্র তিন জন— অধিনায়ক মিতালী, বাংলার ঝুলন এবং করুণা জৈন। ধারে ভারে বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একেবারে তরুণ দল পেয়েছিলেন অধিনায়ক মিতালী। সুযোগ পেয়ে নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া ছিল ভারতীয় দল।
চার দিনের এই টেস্টের প্রথম দিন থেকেই ম্যাচের রাশ ছিল ভারতের হাতে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। সৌজন্যে নিরঞ্জনা নাগরাজনের চার উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মূল্যবান ২২ রানের লিড নেয় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে নড়বড়ে ছিল ব্রিটিশরা। এ বার এডওয়ার্ডস-গুনদের ব্যাটিং আতঙ্ক ছড়ান ঝুলন। তাঁর চার উইকেটে ভর করে ২০২ রানে শেষ করে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে প্রথম উইকেটে কামিনী-মন্ধানা জুটি তোলে ৭৬ রান। ৫১ রান করেন মন্ধানা। এর পর আর ম্য়াচ বের করতে অসুবিধা হয়নি মিতালীদের। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৫০ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক।
ম্যাচ জিততে ভারতীয় দলের মরিয়া মনোভাবের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই। বিপক্ষের প্রতিটা উইকেট তুলে নেওয়ার পর হার্ডল করছিলেন মিতালীরা। মহিলা ক্রিকেটারদের কেউই বিসিসিআই-য়ের কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতাভুক্ত নন। এই ঐতিহাসিক জয়ের পরে বিসিসিআইয়ের ঘুম ভাঙে কি না এখন সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy