রবিবার নদিয়ার চাপড়ায় এক প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত নবি মল্লিকের (৫৫) বাড়ি চাপড়ার তালুকহুদা গ্রামে। এ দিন সকালে তাঁর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি বাঁশবাগানের ভিতরে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনায় মৃতের পরিবার কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না করলেও রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের দাবি, মৃত ব্যক্তি তাদের দলের সমর্থক। তাঁকে সিপিএমের লোকজন খুন করেছেন বলে অভিযোগ তাদের। অন্য দিকে, সিপিএমের বক্তব্য, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে অশান্তির জেরেই এই মৃত্যু। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “মৃত্যুর কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই সেটা পরিষ্কার হবে।”
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পাশের পাড়ার এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল নবি মল্লিকের। এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। শনিবার বাড়িতে অশান্তির পর নবি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। এমনকী, তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাতে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। রবিবার সকালে গ্রামের মানুষ বাঁশবাগানের ভিতরে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
মৃত নবি শেখের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূল দলের সমর্থক হলেও সক্রিয় ভাবে রাজনীতি করতেন না। যদিও তাঁর ভাই দাবি করেন, নবি তৃণমূলের সদস্য। এবং তাঁর খুনের পিছনে সিপিএমের হাত রয়েছে বলে অভিযোগও করেন। জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত-ও একই দাবি করেন। তবে সিপিএম-এর জেলা কমিটির সদস্য ও চাপড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সামসুল ইসলাম মোল্লা এই অভিযোগ নস্যাত্ করে দিয়ে বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
পরিবাবের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট দেখে তার পর লিখিত অভিযোগ করবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy