Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

জিতনরামকে সরাতে রাজভবনে জেডিইউ

ভাঙলেও মচকাতে রাজি নন জিতনরাম মাঁঝি! দলের অন্দরমহলে তাঁর সমর্থন তলানিতে ঠেকেছে, তা টের পেয়েও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “মাঝি কী নাও কভি নেহি ডুবতি হ্যায়” (মাঝির নৌকা কখনও ডোবে না)। জেডিইউ শিবির, রাজ্য রাজনীতিতে মাঁঝিকে ঘিরে হাঙ্গামা চলছে। তাঁকে ইস্তফা দিতে বলেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

জিতনরাম মাঁঝি। ছবি: পিটিআই।

জিতনরাম মাঁঝি। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৬:১৪
Share: Save:

ভাঙলেও মচকাতে রাজি নন জিতনরাম মাঁঝি!

দলের অন্দরমহলে তাঁর সমর্থন তলানিতে ঠেকেছে, তা টের পেয়েও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “মাঝি কী নাও কভি নেহি ডুবতি হ্যায়” (মাঝির নৌকা কখনও ডোবে না)। জেডিইউ শিবির, রাজ্য রাজনীতিতে মাঁঝিকে ঘিরে হাঙ্গামা চলছে। তাঁকে ইস্তফা দিতে বলেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু সে সবে নজর না দিয়েই গত কাল থেকে নয়াদিল্লিতে ঘাঁটি গেড়েছেন জিতনরাম। আজ সকালে ‘নীতি আয়োগ’-এর প্রথম বৈঠকে সামিল হয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর গদি নিয়ে নীতীশ-জিতনরামের টানাপড়েনে সরগরম পটনা। এ দিন সকালে নীতীশের সমর্থনে ১৩০ জন বিধায়কের স্বাক্ষর নিয়ে রাজভবনে যান জেডিইউয়ের প্রদেশ সভাপতি বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস, আরজেডি, সিপিআই নেতারাও। পরে বশিষ্ঠ বলেন, “নীতীশ কুমারকে ফের জেডিইউ বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে। বন্ধু দলগুলি মিলিয়ে তাঁর সঙ্গে ১৩০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। সে কথাই রাজভবনে জানানো হল।” তিনি আরও জানিয়েছেন, নীতীশকে শাসক দলের নতুন নেতা হিসেবে বেছে নেওয়ার পর, জিতনরামকে ইস্তফা দিতে বলেছেন দলের জাতীয় সভাপতি শরদ যাদব। সেই চিঠিও রাজভবনে জমা পড়েছে। জেডিইউ সূত্রে খবর, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী পটনায় আসার পর নীতীশ তাঁর সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের আর্জি জানাবেন। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন শরদ যাদবও। রাজভবন সূত্রে খবর, আগামী কাল সকাল ১০টা নাগাদ পটনায় পৌঁছতে পারেন রাজ্যপাল ত্রিপাঠী।

বিহার পরিস্থিতির উত্তাপ ছড়িয়েছে নয়াদিল্লিতেও। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে জিতনরামের পূর্ব-নির্ধারিত বৈঠক নিয়ে সকাল থেকেই জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে মহাদলিত সম্প্রদায়ের জিতনরামকে অপমান করা হয়েছে বলে সরব হলেও, সরাসরি তাঁর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে চাইছে না বিজেপি। কারণ, সাম্প্রতিক অতীতে তাঁরাও জিতনরামের শাসন নিয়ে অনেক বার সমালোচনায় মুখর হয়েছিল। বিহারে ভোট এগিয়ে নিয়ে আসার দাবি তুলেছে বিজেপি। জিতনরামও চাইছেন, তাঁর সুপারিশ মেনে রাজ্যপাল বিধানসভা ভেঙে দিক। কিন্তু জেডিইউ শিবিরের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, দলের ১১১ জন বিধায়কের মধ্যে ৯৭ জনই জিতনরামের বিপক্ষে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল কী পদক্ষেপ করেন, তারই অপেক্ষায় রয়েছেন বিহারের রাজনৈতিক নেতারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

jitan ram manjhi jitanram bihar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE