জিন্স? একদমই না।
মোবাইল ফোন। নৈব নৈব চ!
ফের নয়া ফতোয়া উত্তরপ্রদেশে। শুক্রবার রাত থেকে এই ফতোয়া জারি করল জারোয়া গ্রামের গুজ্জর সম্প্রদায়ের পঞ্চায়েত। রীতিমতো সালিশি সভা ডেকে এই নিদান হাঁকলেন পঞ্চায়েত সদস্যেরা।
কী সেই নিদান?
জিন্স নামক ‘অশালীন’ পোশাক গ্রামের অবিবাহিতা মেয়েরা পরতে পারবেন না। ব্যবহার করা যাবে না মোবাইল ফোনও। কারণ তাতে সমাজের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তাঁদের দাবি, এই সব ‘অশালীন’ পোশাকের জন্যই সমাজে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের মতো ঘটনা বাড়ছে। মোবাইলে ছেলেদের সঙ্গে বেশি কথা, হাসাহাসি এবং অবাধ মেলামেশা তাঁদের পরিবারকে আরও সমস্যায় ফেলছে। তাই বেপথুদের ‘সংযমী’ করতেই এমন সিদ্ধান্ত।
পঞ্চায়েত প্রধান অশোক কুমার জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে অহেতুক সাইন্ডবক্স বাজানো বা ডিস্ক জকি এনে নাচাগানাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা এর আগেও বহু বার জারি হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে খাপ পঞ্চায়েতও মাঝেমধ্যেই এমন নিদান দেয়। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা না থাকলেও মেয়েদের সম্মান রক্ষার্থে খুনের নির্দেশ দেওয়া ও বিবিধ ফতোয়া জারি করে বারে বারেই খবরের শিরোনামে এসেছে তারা।
অতীতে উত্তরপ্রদেশের বাপগত জেলার আসারা গ্রামে মেয়েদের একলা চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল খাপ পঞ্চায়েত। বিয়ের আগে ঘোমটা ছাড়া দিনের আলোয় মেয়েদের ঘোরাফেরা করা, মোবাইলে গান শুনতে শুনতে পথ চলা সবেতেই ছিল তাঁদের কড়া নজরদারি। রাজস্থানের দৌসা জেলায় মেয়েদের মোবাইল ব্যবহার একপ্রকার নিষিদ্ধই করে দিয়েছিল ভান্দারেজ পঞ্চায়েতের সদস্যেরা। এমনকী, গ্রামবাসীরাও সহমত পোষণ করেছিলেন সেই সিদ্ধান্তে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy