Advertisement
E-Paper

ডাকাত সন্দেহে পুলিশের গাড়িতে হামলার অভিযোগ মালদহে

ডাকাতির হুমকি দিয়ে এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল চিঠি। যার জেরে গত শুক্রবার থেকেই গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। আতঙ্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, সোমবার রাতে ডাকাত সন্দেহে খোদ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়িতেই হামলা চালাল জনতা। মালদহের ইংরেজবাজার থানা এলাকার ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৫ ১৭:০০

ডাকাতির হুমকি দিয়ে এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল চিঠি। যার জেরে গত শুক্রবার থেকেই গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। আতঙ্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, সোমবার রাতে ডাকাত সন্দেহে খোদ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়িতেই হামলা চালাল জনতা। মালদহের ইংরেজবাজার থানা এলাকার ঘটনা।

গত শুক্রবার সকালে স্থানীয় ছ’টি অবস্থাপন্ন পরিবারে পৌঁছেছিল ওই হুমকি চিঠি। তার পর থেকেই বদলে গিয়েছিল চেনা ছবিটা। আতঙ্কে ওই দিন থেকেই রাত জেগে পাহারা দিতে শুরু করেন শোভানগর, বিনোদপুর এবং মানিকচকের ধরমপুর গ্রামের বাসিন্দারা। সোমবার রাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সব কিছুই ঠিক মতো চলছিল। কিন্তু, গোল বাধল একটি গাড়িকে ঘিরে।

ওই দিন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মানিকচক থেকে টহল দিয়ে ফিরছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী। রাস্তায় তখন পাহারাদার গ্রামবাসীদের জটলা। অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি দেখেও তাঁরা পথ থেকে সরে যাননি। উল্টে হাত দেখিয়ে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেন। গাড়ি থামতেই গ্রামবাসীদের হাতে থাকা হাঁসুয়া নজরে পড়ে ওই পুলিশ কর্তার। অস্ত্র হাতে তাঁরা তখন এগিয়ে আসছেন গাড়ির দিকে। বেগতিক বুঝে তাঁদের ধরার নির্দেশ দেন অভিষেক। গ্রামবাসীরা তাতেও পিছু হঠেননি। বরং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া শুরু হয়। এর পরেই শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। সাময়িক ভাবে ভিড়টা সরে যায়। গাড়ি নিয়ে চলেও যান অভিষেক।

কিন্তু, আধ ঘণ্টার মধ্যেই বিশাল বাহিনী নিয়ে সেখানে ফিরে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাঁদের মালদহ জেলা আদালতে হাজির করা হয়।

এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ওই গ্রামগুলিতে। অভিযোগ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কোনও কারণ ছাড়াই নিরীহ গ্রামবাসীদের গ্রেফতার করেছেন। অভিষেক মোদী অবশ্য বলেন, “দিন কয়েক ধরেই ওই অঞ্চলে পুলিশি টহলদারি চলছে। পরেও চলবে।”

niyamatpur maldaha abhishek modi englishbazar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy