হামলা এবং পাল্টা হামলার আবহে ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত বীরভূমের পাড়ুই। গত এক মাসে একের পর রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা ঘটেছে এখানে। শনিবার ফের তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দফায় দফায় চলে বোমাবাজি। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশকে রাবার বুলেট চালাতে হয়।
কী হয়েছিল?
এ দিন দুপুরে পাড়ুই থানার ইমাদপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সভা ছিল। গত বুধবার এই ইমাদপুর থেকে দশ কিলোমিটার দূরে পাড়ুই বাজার লাগোয়া মাঠে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের সভায় যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ ওঠে, ওই সভায় যাওয়ার পথে তাঁদের উপর গুলি-বোমা নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন শেখ আনারুল নামে এক বিজেপি কর্মী। বোমার ঘায়ে আহত হন আরও পাঁচ বিজেপি কর্মী-সমর্থক। ওই দিন পাড়ুইয়ের সভায় রাহুলবাবু তৃণমূল সরকারের ‘বিদায় ঘণ্টা’ও বাজান।
তারই পাল্টা হিসেবে অনুব্রতের এ দিনের সভা। কিন্তু সেই সভায় যাওয়ার পথেই শিরসিটা-র কাছে এ দিন তৃণমূল কর্মীদের উপর ব্যাপক বোমাবাজি করা হয় বলে বিজেপি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল। ঘটনায় যদিও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এ দিনের বোমাবাজিতে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শিরসিটা গ্রাম। তৃণমূলের অভিযোগ, ইমাদপুর গ্রামে অনুব্রতের প্রতিবাদ সভাতে যাওয়ার পথে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর হামলা চালায়। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি-র তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশের সাহায্য নিয়ে গ্রাম দখল করতে গিয়েছিল তৃণমূল।
রাহুলের পাল্টা হিসেবে এ দিন ইমাদপুরকেই বেছে নিয়েছিলেন অনুব্রত। ওই দিন রাহুল অনুব্রতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ‘পার পাবেন না’। এ দিন অনুব্রত বলেন, “২০১৬-য় বিজেপি এই জেলায় একটি আসন পেলে আমি তৃণমূলের সভাপতির পদ ছেড়ে দেব।” যা শুনে রাহুলবাবুর প্রতিক্রিয়া: “অনুব্রত যদি এটা বুঝে থাকেন যে, বীরভূমে বিজেপি কোনও বিষয় না, তা হলে গ্রাম দখলের জন্য প্রশাসনকে দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করিয়ে, পুলিশ ও দুষ্কৃতীদের সাহায্য নিচ্ছেন কেন তাঁরা? আসলে ওঁরা ভয় পেয়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy