দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঠিক করতে মঙ্গলবার আম আদমি পার্টির (আপ) আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তুর নেতৃত্বে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এ ক্ষেত্রে কমিশনকে নির্দেশ দিতে পারে না সুপ্রিম কোর্ট।
রাজ্যে দ্রুত নির্বাচন করানোর জন্যও সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিলেন আপ-এর কৌঁসুলী প্রশান্ত ভূষণ। তাঁর সেই আবেদনও এ দিন খারিজ হয়ে যায়।
দিল্লিতে স্থায়ী সরকার গঠনের জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক বার কেন্দ্রের জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দ্রুত স্থির সিদ্ধান্তে আসতে না পারার জন্য কেন্দ্রকে ভর্ৎসনাও করা হয়। দিল্লিতে সরকার গঠনে কোনও দলই ‘ইতিবাচক’ মনোভাব না দেখানোয় গত সাড়ে আট মাস ধরে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে সেখানে। কিন্তু সেই মেয়াদও শেষের মুখে। ‘সংসদীয় গণতন্ত্রে স্থায়ী সরকারের অধিকার রয়েছে রাজ্যবাসীর’— কেন্দ্রকে এ কথাও মনে করিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরই উপরাজ্যপাল সব দলকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। নতুন করে নির্বাচনের জন্য সম্মতি দেয় বিজেপি। যদিও আপ এবং কংগ্রেস প্রথম থেকেই নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করে এসেছে। শুধু দরকার ছিল রাজ্যের একক বৃহত্তম দল হিসাবে বিজেপি-র এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেতের। সেটা মিলে যাওয়ায় অবশেষে নতুন করে নির্বাচনের পথেই হাঁটে সব ক’টি দল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশজুড়ে গেরুয়া ঝড়ের আঁচকে হাতিয়ার করেই এ বার দিল্লিতে আরও বেশি শক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে বিজেপি। বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বের এই নির্বাচনে সায় দেওয়াতে তারই ইঙ্গিত মিলেছে। শিবসেনার ‘গড়’ মহারাষ্ট্রে তাদের এবং হরিয়ানায় কংগ্রেসকে ধূলিসাত্ করে সম্প্রতি বিজেপি যে ভাবে একাধিপত্য কায়েম করেছে, সেই আত্মবিশ্বাসকেই কাজে লাগাতে চাইছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy