প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ে ধস নেমে মারা গেলেন অন্তত ১৫ জন। ঘটনায় শতাধিক মানুষ আটকে পড়লেন। বুধবার ভোরে পুণের আম্বেগাঁওয়ের মালিন গ্রামের এই ঘটনায় আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন। দুর্গতদের উদ্ধারকাজে ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল নামনো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন ভোরের দিকে আকাশভাঙা বৃষ্টির কারণে ওই গ্রাম লাগোয়া ছোট পাহাড়টি থেকে বড়সড় ধস নামে। গোটা গ্রাম তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। পাহাড়ের পাদদেশের প্রায় ৪৪টি ঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। মারা যান অন্তত ১৫ জন। ভেতরে আটকে পড়েন শতাধিক মানুষ। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তালেগাঁওয়ের ক্যাম্প থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল পাঠানো হয়। পুণের জেলাশাসক সৌরভ রাও জানিয়েছেন, আটকে পড়া গ্রামবাসীদের উদ্ধারে প্রশাসন সর্বশক্তি দিয়ে কাজ চালাচ্ছে। তবে এখনও ওই এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সে কারণে উদ্ধার কাজ ব্যহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কত মানুষ আটকে পড়েছেন সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানাতে পারেননি জেলাশাসক। তিনি বলেন, “বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কাজ কিছুটা হলেও ধীরে চালাতে হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপে ঠিক কত জন আটকে আছেন সে সংখ্যাটা এখনও স্পষ্ট নয়। উদ্ধার করার পর তাঁদের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে এলাকায় প্রায় তিরিশটি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে।” ধস সরানোর কাজে প্রশাসনের পাশাপাশি এলকাবাসীও হাত লাগিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সরকারের পাশাপাশি সে কাজে বেসরকারি সাহায্যও নেওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী পতঙ্গরাও কদম জানিয়েছেন, সমস্ত সরকারি দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তৎপরতার সিঙ্গে উদ্ধার কাজ চলছে। রাজ্য বিধানসভার স্পিকার দিলীপ ওয়ালসে পাটিল বলেন, “পুণের ডিভিশনাল কমিশনার প্রভাকর দেশমুখের তত্ত্বাবধানে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার।” মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার ঘটনাস্থলে উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy