Advertisement
E-Paper

প্রবল বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলে, মৃত ২৮

টানা তিন দিনের ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাণ্ড ও হিমাচলের বিভিন্ন জায়গা। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে দু’টি রাজ্যের বিভিন্ন নদী। ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দু’টি রাজ্যেই। শনিবার দুপুর পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। হিমাচল প্রদেশে মারা গিয়েছেন ৪ জন। দু’টি রাজ্যেই যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০১৪ ১৪:৩৯
ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ছবি: এএফপি।

ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ছবি: এএফপি।

টানা তিন দিনের ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাণ্ড ও হিমাচলের বিভিন্ন জায়গা। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে দু’টি রাজ্যের বিভিন্ন নদী। ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দু’টি রাজ্যেই। শনিবার দুপুর পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। হিমাচল প্রদেশে মারা গিয়েছেন ৪ জন। দু’টি রাজ্যেই যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। উত্তরাখণ্ডে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরই পাশাপাশি শনিবার সকাল থেকেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে উত্তরপ্রদেশের রাপ্তি নদী। ফলে সেখানে বন্যার সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন।

শনিবার খুব ভোরে উত্তরাখণ্ডের কাঠবাংলা এলাকায় ধস নেমে মৃত্যু হয় এক মহিলা-সহ সাত জনের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, টানা বৃষ্টির কারণে মাটি নরম হয়ে গিয়ে কাঠবাংলার পাহাড়ি এলাকায় ধস নামে। মাটি ও ভারী পাথরের টুকরো গড়িয়ে পড়ে তিনটি বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাত জনের। গুরুতর জখম অবস্থায় এক মহিলাকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে দুন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের পাড়ুইতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। দেহরাদূনের কাছাকাছি কিষাণপুর ও পিথোরাগড়ে ধস নেমে মৃত্যু হয় আরও তিন জনের।

প্রশাসন সূত্রে খবর, গত দু’দিন ধরেই অবিরাম বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডের পাড়ুই, দেহরাদূন, পিথোরাগড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঋষিকেশের রামঝুলায় বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে বইছে গঙ্গা। দেহরাদূন ও ঋষিকেশের বহু এলাকা এখনও জলমগ্ন। পুরালা বাইরাগড় এলাকায় জলবন্দি অন্তত ২৫০ জন মানুষ। প্রশাসনের তরফ থেকে চপার পাঠিয়ে তাঁদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে থাকায় উদ্ধারকার্য বিলম্বিত হচ্ছে। তবে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

হিমাচলের মান্ডিতে জলমগ্ন এলাকা। ছবি: পিটিআই।

হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দেহরাদূনে শনিবার পর্যন্ত মোট ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে দেহরাদূনের রিসপানা ও বিন্দাল নদী। জেলাশাসক চন্দ্রেশ যাদব জানান, যখন নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে ১২৪ জন বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অন্য দিকে, ভারী বৃষ্টিতে হিমাচলের মান্ডি, হামিরপুর ও কাংড়া জেলার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। সরকারি হিসেবে, রাজ্যের আড়াইশোটিরও বেশি রাস্তাঘাট জল জমার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। হিমাচলের পাহাড়ি এলাকাগুলিতে রবিবার ভারী বৃষ্টি ও পরের তিন দিন মাঝারি বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

rain uttrakhand himachal pradesh up flood
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy