বাগনান স্টেশনে অবরোধ তুলছে পুলিশ।
মালদহের পর এ বার হাওড়া। ফের চলন্ত ট্রেন থেকে এক মহিলা যাত্রীকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে। মাথায় গুরুতর চোট নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাগনান স্টেশন। যাত্রী বিক্ষোভে দীর্ঘ ক্ষণ আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
কী ঘটেছিল এই দিন?
পুলিশ জানায়, আহত মহিলার নাম অর্পিতা সামন্ত (২২)। বাড়ি পাঁশকুড়ায়। এ দিন দুপুরে স্বামী পবিত্র সামন্তের সঙ্গে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে এসেছিলেন অর্পিতাদেবী। ফেরার সময় সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে আপ মেদিনীপুর লোকালের মহিলা কামরায় ওঠেন তিনি। ট্রেন ছাড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মহিলা টিকিট পরীক্ষকের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। বাগনান স্টেশনে ঢোকার মুখে আচমকাই ট্রেন থেকে বাইরে পড়ে যান অর্পিতাদেবী। যাত্রীদের দাবি, বচসা চলাকালীন হঠাত্ই অর্পিতাদেবীকে ট্রেন থেকে পড়ে যেতে দেখেন তাঁরা। বাগনান স্টেশনের কিছু আগে রেললাইনের ধারে পাথরের উপর তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ট্রেনের যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উলুবেড়িয়া হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে আহত অর্পিতাদেবীর।
ঘটনার পরেই বাগনান স্টেশনে রেল অবরোধ করেন যাত্রীরা। বিক্ষোভে যোগ দেন এলাকার বাসিন্দারা। দুপুর ২টো থেকে ঘণ্টাখানেক ধরে দফায় দফায় অবরোধ চলে। অবরোধের জেরে দীর্ঘ ক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। স্টেশনে আটকে পড়া হাওড়াগামী সত্যসাঁই এক্সপ্রেসেও হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। ট্রেনের এসি কামরার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা টিকিট পরীক্ষক রঞ্জিত কউরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অন্য দিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “আমি ধাক্কা দিইনি। টিকিট দেখাতে বলেছিলাম। কিন্তু উনি দেখাতে চাইছিলেন না। পরে নিজেই ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন।”
ছবি: সুব্রত জানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy