হামলাকারীদের হাত থেকে ছেলেদের বাঁচাতে মার খেয়েছিলেন মা। সেই সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। নদিয়ার চাকদহের ঠাকুর কলোনিতে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতার নাম বেলা দে (৬৫)।
সিপিএমের তরফে অভিযোগ করা হয়, রবিবার চাকদহের ঠাকুর কলোনিতে দলীয় পতাকা লাগানো হয়। রাতে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা সেই পতাকা ছিঁড়ে নিজেদের দলীয় পতাকা লাগানোর চেষ্টা করে। সেই সময় বিকাশ দে নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই কর্মীরা প্রথমে চলে যায়। পরে আরও লোকজন নিয়ে এসে বিকাশবাবুর বাড়িতে তারা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিকাশ ও তাঁর ভাই বিজনকে মারধর করতে থাকে। সেই সময় তাঁদের মা বেলাদেবী এসে বাধা দেন। হামলাকারীরা তাঁকেও ধাক্কাধাক্কি করে বলে অভিযোগ। লোহার গ্রিলের উপর পড়ে গিয়ে তাঁর আঘাত লাগে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বেলাদেবীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সোমবার তিনি ভোটও দেন।
ভোট দিয়ে আসার পর ফের অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে কল্যাণীর গাঁধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টায় সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “রাজ্য জুড়ে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তৃণমূলের বর্বোরচিত হামলায় বেলাদেবীর মৃত্যু হয়েছে।”
তৃণমূল যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু যে ভাবে একটি স্বাভাবিক মৃত্যুকে রাজনৈতিক রং চড়িয়ে দেখানো হচ্ছে তা আরও দুঃখজনক। বেলাদেবী সোমবার সুস্থ শরীরেই ভোট দিয়েছিলেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy