উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায় মাওবাদী তাত্ত্বিক নেতা অরবিন্দ বাছাড়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার ভোরে বাদুরিড়ায় রুদ্রপুরে নিজের বাড়ি থেকে ধরা পড়েন তিনি। ওড়িশার বারিপোতা সেন্ট্রাল জেলে বছর চারেক কাটানোর পরে গত ২৩ মে বাড়ি ফিরেছিলেন অরবিন্দবাবু। পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম থানা তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, অস্ত্র নিয়ে জমায়েত-সহ মোট ৭টি ধারায় ওয়ারেন্ট জারি করেছিল।
বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রাম পুলিশের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। এ দিন বাদুড়িয়া থানার ওসি কল্লোল ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই মাওবাদী নেতাকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। রবিবার বসিরহাট আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে আগামী ৩০ জুলাই ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলার নির্দেশ দেন। তত দিন পর্যন্ত বসিরহাট সংশোধনাগারে অরবিন্দকে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
পুলিশের দাবি, মাওবাদী সংগঠনের তাত্ত্বিক দায়িত্বে ছিলেন বলে নিজেই জানিয়েছেন অরবিন্দবাবু। বিজু, চন্দ্রশেখর-সহ একাধিক নামে দীর্ঘ দিন ধরে মাওবাদী সংগঠনের কাজে যুক্ত ছিলেন অরবিন্দবাবু। তবে অরবিন্দবাবুর দাবি, তিনি কখনও অস্ত্র হাতে লড়াই করেননি।
উত্তরপ্রদেশের পিলভিট জেলার মাধোডাঙার টান্ডা গ্রামের বাসিন্দা অরবিন্দ অবশ্য দীর্ঘ দিন পশ্চিমবঙ্গে কাটিয়েছেন। সিপিআই (মাওবাদী) জোনাল কমিটি এবং দলের কলকাতা (সিটি) কমিটির সদস্য অরবিন্দ বাদুড়িয়ার রুদ্রপুরের মাগুরখালিতে তাঁর স্ত্রী এবং বছর বারোর ছেলের সঙ্গে থাকতেন।
২০০৮ সালে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের তৎকালীন সাংসদ সুদাম মারান্ডির (বর্তমানে সে রাজ্যের মন্ত্রী) উপরে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১০ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুর থেকে ধরা পড়েছিলেন বছর আটচল্লিশের এই নেতা। ওই হামলায় মারা গিয়েছিলেন সাংসদের দেহরক্ষী-সহ কয়েক জন।