হরিশচন্দ্রপুরে ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়ি। ছবি: বাপি মজুমদার।
তালা ভেঙে ব্যাঙ্কে ঢুকে পড়েছিল দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, গ্যাস কাটার দিয়ে শাটার কেটে ভল্ট অবধিও পৌঁছে যায় তারা। কিন্তু, শেষমেশ ভল্ট কাটতে পারেনি। তাই এ যাত্রা রক্ষা পেল হরিশচন্দ্রপুরের বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের একটি শাখা। রবিবার রাতে স্থানীয় ভিঙ্গোল গ্রামের ঘটনা। ব্যাঙ্ক রক্ষা পেলেও, নিস্তার মেলেনি ঘটনার তদন্তে আসা পুলিশকর্মীদের। তাঁদের আটকে রেখে ক্ষোভ উগরে দিলেন বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, চুরি-ডাকাতি প্রায় লেগেই রয়েছে। অথচ পুলিশ নিষ্ক্রিয়।
ভিঙ্গোল গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসটি দোতলা। নীচে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম হয় আর উপরের তলায় ব্যাঙ্ক। ওই রাতে যখন ব্যাঙ্কে ডাকাতির চেষ্টা চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা, সেই সময়ে নীচে একটি মুদির দোকানেও চুরি হয়। স্থানীয়দের দাবি, এর আগেও ওই ব্যাঙ্কে ডাকাতির চেষ্টা হয়। গত ডিসেম্বরের সেই ঘটনাকে পুলিশ যে কোনও গুরুত্ব দেয়নি এ বারের ঘটনা তারই প্রমাণ। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসেও এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে চুরি-ডাকাতি হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।
এ দিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ হরিশচন্দ্রপুর থানার এক এএসআই ও এক হোমগার্ড-সহ বেশ কয়েক জন সিভিক পুলিশ ঘটনার তদন্তে আসেন। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা তাঁদের পঞ্চায়েতের ভেতর আটকে রেখে দরজায় তালা দিয়ে দেন। ঘটনার সঠিক তদন্তের পাশাপাশি এলাকায় পুলিশ ক্যাম্পের দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। এর পর এক এসআইয়ের নেতৃত্বে হরিশচন্দ্রপুর থানা থেকে পুলিশবাহিনী আসে। তাঁদেরও আটকে রাখা হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের জিপ। পরিস্থিতি সামাল দিতে চাঁচলের এসডিপিও কৌস্তভদীপ্ত আচার্যের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী আসে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ আটক পুলিশকর্মীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কৌস্তভদীপ্তবাবু বলেন, “বাসিন্দাদের ক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু এ ভাবে পুলিশকর্মীদের আটকে রাখা বা গাড়ি ভাঙচুর করা ঠিক নয়। পুলিশ প্রতিটি ঘটনারই তদন্ত করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy