Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিরোধী দলনেতার পদ নিয়ে ‘মধ্যস্থতা’ সুপ্রিম কোর্টের

লোকপাল আইনের স্বার্থে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদ নিয়ে বিজেপি এবং কংগ্রেসের লড়াইয়ে ‘মধ্যস্ততা’ করতে এগিয়ে এল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পদটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতার পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘসূত্রিতা করে বিষয়টিকে হিমঘরে পাঠানো অনুচিত বলে মন্তব্য করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। এ বাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে দু’সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৪ ১৬:২৬
Share: Save:

লোকপাল আইনের স্বার্থে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদ নিয়ে বিজেপি এবং কংগ্রেসের লড়াইয়ে ‘মধ্যস্ততা’ করতে এগিয়ে এল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পদটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতার পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘসূত্রিতা করে বিষয়টিকে হিমঘরে পাঠানো অনুচিত বলে মন্তব্য করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। এ বাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে দু’সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।

সংবিধান অনুযায়ী বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে কোনও দলকে নূন্যতম ১০% (৫৫টি) আসন পেতেই হবে। কিন্তু এ বারের লোকসভা নির্বাচনে কোনও বিরোধী দলই ওই সংখ্যক আসন পায়নি। সর্বাধিক আসন পায় কংগ্রেস। কিন্তু তাদের ৪৪টি আসনও প্রয়োজনীয় আসন সংখ্যার থেকে যথেষ্টই কম। বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে মরিয়া কংগ্রেস বার বার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে। তবে প্রয়োজনীয় আসন না থাকায় তা খারিজ হয়ে যায়। কয়েক দিন আগে স্পিকারও কংগ্রেসের আবেদন নাকচ করে দেন। এর পরেই এ দিন শীর্ষ আদালত বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এ দিনের রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হোসেন বলেন, “বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তবে গণতন্ত্রে জনমতই শেষ কথা। দেশের জনগণই চান না কংগ্রেস বিরোধী দলের মর্যাদা পাক। তাই তাদের ১০% ভোটও দেননি।” শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্ল বলেন, “আদালতের রায় মেনে এখনই কংগ্রেসকে বিরোধী দলের মর্যাদা দেওয়া উচিত কেন্দ্রের।” একই মত কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারিরও। তাঁর মতে, কংগ্রেসকে বিরোধী দলের তকমা না দিয়ে গণতন্ত্রের অপমান করছে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার।

বিরোধী দলনেতার পদটি ক্যাবিনেট পর্যায়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিভিন্ন কমিটিতে সামিল হয়ে বিরোধী দলনেতা লোকপাল, মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার-সহ একাধিক পদের নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। এমনকী, সরকারের দুর্নীতি নিয়ে কোনও অভিযোগ এলে তার তদন্তে কমিটি তৈরির পিছনেও ভূমিকা থাকে বিরোধী দলনেতার। লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ ক্ষমতায় আসার পরে গত তিন মাস ধরে খালি রয়েছে বিরোধী দলনেতার আসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

supreme court leader of opposition
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE