পুলিশকে নিগ্রহের ট্র্যাডিশন বজায় রাখল বীরভূম। বুধবার গভীর রাতে তিন মদ্যপের হাতে মার খেয়ে জখম হয়েছিলেন এক পুলিশকর্মী এবং এক এনভিএফ কর্মী। আর শুক্রবার হেলমেটহীন বাইক আরোহীর হাতে হেনস্থা হতে হল কর্তব্যরত এক ট্র্যাফিক পুলিশকে। তবে এ দিনের ঘটনা তুলনায় কিছুটা ‘নিরীহ’।
এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সিউড়ির জেলাশাসকের অফিসের সামনে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করছিলেন এএসআই মীর নজরুল আলি। সেই সময়ে সেখান দিয়ে মোটরবাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন তিন জন। চালক-সহ কারও মাথাতেই ছিল না হেলমেট। বাইকটি দাঁড় করিয়ে নথি দেখতে চান নজরুল। হেলমট ছাড়া মোটরবাইক চালানোর কারণ জানতে চান। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁকে হেনস্থা করে বাইকের পিছনে বসা যুবক। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান এএসআই। সেই সুযোগে বাইক নিয়ে চম্পট দেন দু’জন। কিন্তু মূল অভিযুক্ত জাভেদ আনসারিকে ধরে ফেলেন নজরুল। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
জেলা জুড়ে পুলিশকে হেনস্থার ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলায় নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে নিচুতলার কর্মীরা। বুধবার রাতের ঘটনার পর সে কথা স্বীকার করে নেন আহত এনভিএফ কর্মীও। ওই ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হলেও মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা।