বৌ এর সঙ্গে দেখা করতে আসাই কাল হল আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পালানো এক বন্দির। শুক্রবার রাতে বাসন্তী থানার ভাঙনখালি এলাকায় তার বাড়িতেই ধরা পড়ে ওই বন্দি কুতুবউদ্দিন লস্কর। গত ৮ অগস্ট আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পালায় আজিম মিস্ত্রি, শামিম হাওলাদার ও কুতুবউদ্দিন লস্কর নামে তিন বন্দি। এদের মধ্যে আজিম মিন্ত্রি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও বাকি দু’জন বিচারাধীন বন্দি। আজিম ও শামিম ধরা পড়েছিল আগেই। খোঁজ চলছিল তৃতীয় জনের। এ বার পুলিশের জালে সে-ও।
পুলিশের কাছে আগাম খবর ছিল জেল থেকে পালানোর পরে বাসন্তী থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুড়ে বেরাচ্ছে কুতুবউদ্দিন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ওই দিন রাতে বাসন্তী থানা ও কলকাতা পুলিশের যৌথ অভিযানে বাড়ি থেকেই ধরা পড়ে সে। রাতেই তাকে বাসন্তী থেকে আলিপুর জেলে নিয়ে আসা হয়।
ওই তিন জনের বিরুদ্ধেই ডাকাতি, অপহরণ-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতি করতে গিয়ে খুনের অভিযোগও রয়েছে আজিম মিস্ত্রির বিরুদ্ধে। বাসন্তী থানার উত্তর ভাঙনখালির বাসিন্দা কুতুবউদ্দিন। কুলতলিতে লঞ্চ ডাকাতি ও বাসন্তী দোকান মালিক খুনে অভিযুক্ত কুতুবউদ্দিনকে উত্তরপ্রদেশের সহারনপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ৮ অগস্ট রাতে জেলের ‘পানিশমেন্ট সেল’-এর গরাদ কেটে, গামছা-লুঙ্গির দড়ি বানিয়ে তিনখানা পাঁচিল টপকে পালায় ওই তিন বন্দি। বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগসূত্র থাকায় ওই দিনই সীমান্ত লাগোয়া থানা ও বিএসএফকে সতর্ক করে পুলিশ।
ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বারুইপুর স্টেশন চত্বর থেকে ধরা পড়ে মূল চক্রী আজিম মিস্ত্রি। পরে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড় থানার তালদিঘি এলাকার একটি বাড়ি থেকে ধরা পড়ে অপর বন্দি শামিম হাওলাদার। শামিমকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে জেল থেকে পালানোর পরে ওই তিন বন্দি প্রথমে ভবানীপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে আজিম যায় বারুইপুরে এবং কুতুবউদ্দিনকে নিয়ে শামিম যায় ক্যানিংয়ের ঘুটিয়ারিশরিফে। সেখান থেকে তাদের বাংলাদেশে পালানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আজিম ও পরে শামিম ধরা পড়ে যাওয়ায় সেই চক্রান্ত ভেস্তে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy