সাংবাদিকদের সামনে বিজেপি নেতা বিনোদ তাওড়ে ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
দেশীয় ও রাজ্য রাজনীতির আশঙ্কাকে সত্যি করে শেষ পর্যন্ত সিকি শতকের পুরনো বন্ধুত্বে চিড় ধরল। মহারাষ্ট্রে ভেঙে গেল বিজেপি-শিবসেনা জোট। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই কথা ঘোষণা করলেন রাজ্য বিজেপির প্রধান দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তিনি জানান, গত কয়েক দিন ধরে আসন সমঝোতা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলাপ আলোচনা করেও ঐকমত্যে পৌঁছনো যায়নি। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির দিক থেকে নমনীয়তা ও আপোসের চেষ্টা করা হলেও ইতিবাচক কোনও ইঙ্গিত মেলেনি শিবসেনার তরফ থেকে। তবে তিনি এটাও জানান, রাজ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্কে ছেদ পড়লেও কেন্দ্রে তারা বিজেপির শরিক দল হিসাবেই থাকছে। এ দিনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরে টুইট করে বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন।
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৭ সেপ্টেম্বর। বেশ কিছুদিন ধরেই আসন সমঝোতা নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছিল সেনা ও বিজেপির মধ্যে। বিজেপির তরফ থেকে প্রথমে প্রস্তাব দেওয়া হয়, দু’টি দলই ১৩৫টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। বাকি ১৮টি আসন ভাগ করে দেওয়া হোক জোটের বাকি ছোট দলগুলির মধ্যে। কিন্তু প্রথম থেকেই ‘মিশন ১৫০’ স্লোগান তোলা সেনার পক্ষে ১৫০-র কম আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব ছিল না। দর কষাকষিতে এক সময়ে ১২৫টি পর্যন্ত আসনে লড়তে রাজি হয় বিজেপি। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই সেনা ১১৯টির বেশি আসন ছাড়তে রাজি ছিল না। মুখরক্ষার জন্য দু’টি দলই ঠিক করে জোটের ছোট দলগুলির আসন সংখ্যা কমিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার। কিন্তু এই প্রস্তাবে বেঁকে বসে সেনা-বিজেপি বাদে জোটের বাকি দলগুলি। প্রয়োজনে জোট ছাড়ার হুমকিও দেয় তারা।
এ দিন সেনা-বিজেপি জোট ভেঙে যাওয়ায় ছোট দলগুলি কাদের সঙ্গে থাকবে তা নিয়ে একটা বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে শিবসেনা-র মুখপত্র ‘সামনা’-তে দাবি করা হয়েছে ছোট দলগুলি সেনার সঙ্গেই থাকবে। বিজেপির এক প্রবীণ নেতা জানান, ছোট দলগুলি নিজেদের ভাল অবশ্যই বুঝবে।
ছবি: পিটিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy