Advertisement
E-Paper

মালদহের চাঁচলে ডাকাতের হাতে খুন স্বর্ণ ব্যবসায়ী

ডাকাতি করতে এসে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুন করল ডাকাতরা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচলের কাজী নজরুল ইসলাম বাস টার্মিনাসের কাছে। মৃতের নাম গোপাল চন্দ্র রায় (৬৪)। কী হয়েছিল ওই দিন? পুলিশ সূত্রে খবর, ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বাস টার্মিনাসের খুব কাছেই ছেলে জ্যোতির্ময় ও স্ত্রী সীমাকে নিয়ে থাকতেন গোপালবাবু। দোতলা বাড়ির নীচের তলাতেই তাঁর দোকান। উপর তলায় স্ত্রী ও ছেলেক নিয়ে থাকতেন তিনি। দুর্গাপুজো উপলক্ষে ওই দিন সন্ধ্যায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন জ্যোতির্ময়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৪ ১১:৩৮

ডাকাতি করতে এসে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুন করল ডাকাতরা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচলের কাজী নজরুল ইসলাম বাস টার্মিনাসের কাছে। মৃতের নাম গোপাল চন্দ্র রায় (৬৪)।

কী হয়েছিল ওই দিন?

পুলিশ সূত্রে খবর, ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বাস টার্মিনাসের খুব কাছেই ছেলে জ্যোতির্ময় ও স্ত্রী সীমাকে নিয়ে থাকতেন গোপালবাবু। দোতলা বাড়ির নীচের তলাতেই তাঁর দোকান। উপর তলায় সপরিবারে থাকতেন তিনি। দুর্গাপুজো উপলক্ষে ওই দিন সন্ধ্যায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন জ্যোতির্ময়। ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন তাঁর মা সীমাদেবীর হাত-পা বাঁধা এবং মুখে কাপড় গোজা। ঘরের মধ্যেই কিছু দূরে রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর হয়ে পড়ে রয়েছেন তাঁর বাবা। মায়ের কাছ থেকে ডাকাতির বিবরণ শুনে পুলিশে খবর দেন জ্যোর্তিময়।

সীমাদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৫ জনের একটি ডাকাত দল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়িতে হামলা চালায়। তাদের প্রত্যেকের মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল। হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র ও ভোজালি। গোপালবাবু ও তাঁর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে দোকানের চাবি দিতে বলেন। সীমাদেবীর দাবি, তিনি ডাকাতদের কথামতো চাবিও দিয়ে দেন। তার পর ডাকাতরা তাঁকে বেঁধে রেখে গোপালবাবুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করেন। তবে গোপালবাবুকে খুনের কারণের বিষয়টি স্পষ্ট জানাতে পারেননি সীমাদেবী।

বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই দলটি ডাকাতির উদ্দেশ্যেই এসেছিল। কিন্তু গোপালবাবুকে কেন খুন করল তারা সে বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। পুলিশের আরও অনুমান, ওই ডাকাত দলের মধ্যে তাঁর পরিচিত কেউ ছিল। হয়ত চিনে ফেলার কারণে গোপালবাবুকে খুন করেছে ডাকাতরা।

আরও একটি বিষয় নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে তা হল, একেই পুজোর সময়, তার উপর বাস টার্মিনাসের কাছে সন্ধেবেলা থেকেই প্রচুর মানুষ সেখানে ছিলেন। জমজমাট এলাকার মধ্যে এ রকম একটা ঘটনা ঘটে গেল আর কেউ টের পেল না কেন? ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশ থেকে খুন কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

chanchal dacoity
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy