—ফাইল চিত্র।
একে সারদায় রক্ষে নেই, তায় রোজভ্যালি দোসর!
ফের বেআইনি অর্থলগ্নি কাঁটায় বিঁধল তৃণমূল। রোজভ্যালি কাণ্ডে বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের দলীয় সাংসদ তাপস পালের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই। বাজার থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অভিযোগে ওই অর্থলগ্নি সংস্থার বিভিন্ন অফিস-সহ তার কর্ণধার এবং কর্তাব্যক্তিদের বাড়িতে এ দিন সকাল থেকে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গোটা দেশ জুড়ে ৪৩টি জায়গায় ওই অভিযান চলেছে বলে সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, শুধু সারদা নয়, যে সমস্ত বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের সকলকে নিয়েই তদন্ত করবে সিবিআই। সেই মতো তদন্তে নামে ওই গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যে সারদা মামলায় রাজ্যের শাসকদলের বেশ কয়েক জন নেতা, সাংসদ এবং মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে তারা। সিবিআই সূত্রে খবর, মাস দুয়েক আগে থেকে তারা রোজভ্যালি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও নথি সংগ্রহের কাজ শুরু করে। সেই সুবাদে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, তৃণমূলের ওই সাংসদ রোজভ্যালি থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। এর আগে সারদা মামলায় তৃণমূলের বেশ কয়েক জন পদস্থ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষকে আগেই এই মামলায় গ্রেফতার করে রাজ্য সরকার। পরে রাজ্যসভার অন্য এক সাংসদ সৃঞ্জয় বসুকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তিনি এখন যদিও জামিনে মুক্ত। ওই একই মামলাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাংসদ মুকুল রায়কেও। তবে রোজভ্যালি কাণ্ডে এই প্রথম কোনও তৃণমূল সাংসদের বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে খবর, এ দিন সকালে দেশের ৪৩টি জায়গায় অভিযান চালানো হয়। এ রাজ্যের ২৭টি জায়গার পাশাপাশি ত্রিপুরায় ৭ এবং ওড়িশা, অসম, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ় ও তামিলনাড়ুর একটি করে জায়গায় অভিযান চলে। তালিকায় এ রাজ্যের কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি অন্য কয়েকটি জেলাও ছিল। সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর সাউথ সিটির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়। বারাসতে তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে। গোয়েন্দারা সেখানেও গিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy