Advertisement
E-Paper

শিলিগুড়িতে বিজেপি অফিসে ভাঙচুর

শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সেটি ছিল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়। কিন্তু ওই দিন বিকেলে শতাধিক অনুগামী-সহ শিলিগুড়ির প্রধাননগর এলাকার কংগ্রেস নেতা শ্যাম সিংহ বিজেপিতে যোগ দেন। শনিবার সেই অফিসেই ভাঙচুর চালানো হয়। শিলিগুড়ির তিন নম্বর ওয়ার্ড কমিটির প্রাক্তন ওই কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট শ্যামবাবুর অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরাই বিজেপি-র ওই অফিস ভাঙচুর করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৪ ১৮:১৮
শিলিগুড়ির প্রধাননগর এলাকায় ভাঙচুর হওয়া বিজেপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশি টহল। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

শিলিগুড়ির প্রধাননগর এলাকায় ভাঙচুর হওয়া বিজেপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশি টহল। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সেটি ছিল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়। কিন্তু ওই দিন বিকেলে শতাধিক অনুগামী-সহ শিলিগুড়ির প্রধাননগর এলাকার কংগ্রেস নেতা শ্যাম সিংহ বিজেপিতে যোগ দেন। শনিবার সেই অফিসেই ভাঙচুর চালানো হয়। শিলিগুড়ির তিন নম্বর ওয়ার্ড কমিটির প্রাক্তন ওই কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট শ্যামবাবুর অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরাই বিজেপি-র ওই অফিস ভাঙচুর করেছে। এ নিয়ে বিজেপি-র তরফে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে প্রধাননগর থানায়।

প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা বর্তমান বিজেপি সদস্য শ্যামবাবুর দাবি, এত দিন তাঁর বাড়ির একটি অংশে কংগ্রেসের কার্যালয় ছিল। এমনকী, ওই কার্যালয়ে বিদ্যুতের মিটার এবং বিল তাঁরই নামে। যে হেতু এখন তিনি বিজেপি কর্মী, তাই স্বাভাবিক ভাবেই কার্যালয়টি বর্তমানে ওই দলের বলে তাঁর দাবি। কংগ্রেস যদিও এ দিন প্রধাননগর থানায় তাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে একটি এফআইআর করেছে। তৃণমূল আবার এটিকে বিজেপি-কংগ্রেস দ্বন্দ্ব হিসেবে দেখাতে চেয়েছে। অফিস ভাঙচুরের চেষ্টা এবং কর্মী-সমর্থকদের ভয় দেখানোর চেষ্টার অভিযোগে তারাও প্রধাননগর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

ওই দিন বিকেলে রাহুল সিংহ এবং সিদ্ধার্থনাথ সিংহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিয়েছিলেন শ্যামবাবু। তার পরেই তাঁর বাড়ির ওই কার্যালয়ে হামলা চলে। কংগ্রেস জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই শ্যামবাবুর বাড়িতে দলীয় কার্যালয় রয়েছে। কেউ বিজেপিতে যোগ দিলে গোটা কার্যালয়েরই দলীয় পরিচিতি পাল্টে যাবে এমনটা হয় না কি! বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাদের আরও দাবি, কার্যালয়ে বিদ্যুত্‌ সংযোগ নিতে গেলে কারও নামেই তা নিতে হয়। সেই কারণে ওই নেতার নামেই সংযোগ নেওয়া হয়েছিল। এখনও ওই কার্যালয় তাদেরই বলে কংগ্রেসের দাবি। কার্যালয় দখল করার চেষ্টা ও ভাঙচুর চালানোর ঘটনা পুলিশকে তাই লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।

তৃণমূল যদিও এই হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তাদের দলীয় কার্যালয়ে বিজেপি হামলা চালিয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে। তাদের দাবি, প্রতিরোধ করা হয়েছে মাত্র। কোনও হামলা চালানো হয়নি। সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ পাল। তিনি বলেন, “এটা কংগ্রেস-বিজেপি-র নিজস্ব ব্যাপার। এই ঘটনায় দলের কোনও যোগ নেই। আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা হতে পারে এই আশঙ্কায় আমরা সতর্ক আছি।” শ্যাম সিংহ যদিও অন্য কথা বলছেন। তাঁর কথায়: “বাম আমলের মতো এই জমানাতেও বিরোধীকণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা চলছে।”

siliguri bjp office tmc rampage
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy