Advertisement
E-Paper

শঙ্কুদেবকে নোটিস ধরাতে ইডি পৌঁছল তৃণমূল ভবনেও

সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে এই প্রথম তৃণমূলের সদর দফতরে পৌঁছে গেলেন ইডির তদন্তকারীরা। তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শঙ্কুদেব পণ্ডাকে জেরা করার নোটিস ধরাতে মঙ্গলবার দুপুরে তৃণমূলের সদর দফতরে গেলেন তদন্তকারীরা। আগামী সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর শঙ্কুকে ইডি দফতরে ডাকা হয়েছে। এর আগে সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের সহ-সভাপতি রজত মজুমদার, দলের মুখপত্রের সম্পাদক-সাংসদ সৃঞ্জয় বসু এবং রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২১:১৯

সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে এই প্রথম তৃণমূলের সদর দফতরে পৌঁছে গেলেন ইডির তদন্তকারীরা।

তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শঙ্কুদেব পণ্ডাকে জেরা করার নোটিস ধরাতে মঙ্গলবার দুপুরে তৃণমূলের সদর দফতরে গেলেন তদন্তকারীরা। আগামী সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর শঙ্কুকে ইডি দফতরে ডাকা হয়েছে।

এর আগে সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের সহ-সভাপতি রজত মজুমদার, দলের মুখপত্রের সম্পাদক-সাংসদ সৃঞ্জয় বসু এবং রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। জেরা করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্যকে। কিন্তু এ দিন ইডি শঙ্কুকে নোটিস দিতে যে ভাবে তৃণমূলের সদর দফতরে পৌঁছে গিয়েছে— তা আগে কখনও ঘটেনি।

শঙ্কু শুধু তৃণমূলের উঠতি নেতাই নন, তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্কের খাতিরেই একটি চ্যানেলের জেলা সাংবাদিক পদ থেকে মাত্র কয়েক বছরেই দলের শাখা সংগঠনের শীর্ষস্তরে পৌঁছে যান শঙ্কু। এর পরেই রাজ্যের মানুষ তাঁকে চেনেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) সভাপতি হিসাবে।

কেন ইডির নজর এ বার শঙ্কুর দিকে?

ইডি সূত্রের খবর, শঙ্কুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সারদা থেকে প্রতি মাসে প্রচুর টাকা ঢুকেছে। ঘটনাচক্রে, শঙ্কু প্রথমে সারদার ‘চ্যানেল ১০’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে শুভাপ্রসন্নর চালু না হওয়া সংবাদ চ্যানেল ‘এখন সময়’-এ (পরে যার মালিক হয় সারদা) তিনি উচ্চপদে নিযুক্ত হন। এই চ্যানেলের দায়িত্বে ছিলেন আর এক তৃণমূল ব্যক্তিত্ব, বর্তমানে সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। তাঁকেও এর মধ্যেই জেরা করেছে ইডি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মোটা বেতন ছাড়াও সারদা থেকে আরও টাকা পেয়েছেন শঙ্কু। কী বাবদ ওই টাকা নেওয়া হয়েছে, তা জানতেই শঙ্কুকে জেরা করার প্রয়োজন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

কিন্তু তৃণমূল ভবনে নোটিস দিতে গেল কেন ইডি?

ইডি-র তদন্তকারীদের ব্যাখ্যা: শঙ্কুর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের আঠিলাগোড়ি এলাকায়। কিন্তু তিনি থাকেন তৃণমূল ভবনেই। বিশ্বস্ত সূত্রে এই তথ্য জানতে পেরে তদন্তকারীরা দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ পৌঁছন সেখানে। কিন্তু তৃণমূলকর্মীরা তদন্তকারীদের জানান, শঙ্কু এখন দফতরে নেই। তিনি কখন আসবেন, ওই তৃণমূল কর্মীরা তা-ও জানাতে পারেননি। সল্টলেকের সিজিও দফতরে ফিরে আসেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, এর মধ্যে তৃণমূল কর্মীরা টেলিফোনে বিষয়টি জানান শঙ্কুকে। পরে শঙ্কু নিজেই যোগাযোগ করেন ইডি-র সঙ্গে। শঙ্কুর দেওয়া একটি নম্বরে ফ্যাক্স করে নোটিসটি পাঠিয়ে দেন তদন্তকারীরা।

saradha scam ed enforcement directorate shankudeb panda notice
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy