—ফাইল চিত্র।
সিবিআই গুরুতর ধারা যোগ না করায় আলিপুর জেলা আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন সারদা কেলেঙ্কারিতে ধৃত সৃঞ্জয় বসু। এ বার তদন্তকারী সংস্থা আদালতে জোরালো প্রমাণ না দেখাতে পারায় জামিন পেলেন প্রাক্তন পুলিশকর্তা রজত মজুমদার। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি ইন্দ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে রজতবাবুকে জামিন দিয়েছে।
সারদা কেলেঙ্কারিতে এই প্রথম কোনও অভিযুক্তকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনাচক্রে, এ দিনই প্রথম হাইকোর্টে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন রজতবাবুর আইনজীবীরা। এই রায়ের প্রেক্ষিতে এ দিন সাত দিনের জন্য স্থগিতাদেশও চেয়েছিল সিবিআই। তা-ও খারিজ করে দেয় আদালত।
রজতের জামিনের ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের আইনজীবী কে রাঘবচারুলু এ দিন আদালতকে জানান, এ ভাবে জামিন দিলে বাকি অভিযুক্তরাও একই ভাবে জামিন চাইতে পারেন। এই জামিনের নির্দেশে সমাজের কাছে কী বার্তা পৌঁছবে, তা-ও ভেবে দেখার আর্জি জানান তিনি। যদিও বিচারপতিরা জানিয়েছেন, এই মামলায় জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে সবার আর্জি একই ভাবে বিচার না-ও করা হতে পারে।
সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সিবিআই তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা রজতবাবুকে গ্রেফতার করে। তাঁর হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য মিত্র, মিলন মুখোপাধ্যায়, জয়দীপ কর, বিল্বদল ভট্টাচার্য এবং ময়ুখ মৈত্র আদালতকে জানান, তিনি ১৬০ দিন ধরে জেলে বন্দি রয়েছেন। ১৭ নভেম্বর আলিপুর আদালতে রজতবাবুর বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা দেওয়া হয়েছে। এর পরেও কেন রজতবাবুকে জামিন দেওয়া হবে না?
যদিও এই আবেদনের বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। কিন্তু সিবিআইয়ের এই সওয়ালেও সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। বরং চারটি শর্ত রেখে রজতবাবুকে জামিনই দিয়েছে হাইকোর্ট।
কী কী শর্ত পালন করতে হবে রজতবাবুকে?
এক লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড রাখতে হবে। রজতবাবু কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশ এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না। তাঁর পাসপোর্ট নিম্ন আদালতের কাছে জমা রাখতে হবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে এক বার করে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy