সোমবার সিউড়ির লালবাগ সংশোধনাগারে এক বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিধান কোনাই (৩৭)। বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার হাসন এলাকার বাসিন্দা বিধান খুনের দায়ে লালবাগ সংশোধনাগারে ছিল।
পুলিশ ও সংশোধনাগার সূত্রে খবর, ২০০২ সালে নিজের মেজ দাদা অনিল কোনাইকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত হয় বিধান। তার সঙ্গে আরও সাত জনের নাম অভিযুক্তের তালিকায় ছিল। ওই মামলায় বিধান ও প্রশান্ত নামে দুই জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বহরমপুর আদালত। এর মধ্যে বিধানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। কিন্তু বহরমপুর জেলে থাকাকালীন বিধানের ব্যবহারে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে লালবাগ মুক্ত সংশোধনাগারে স্থানান্তরিত করে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৭ জুলাই সেখান থেকে পালিয়ে যায় বিধান। অভিযোগ, এর পরে হাসনে নিজের বাড়িতে অনিলবাবুর বিধবা স্ত্রীকে খুন করে বিধান। গত ৩ অগস্ট নলহাটি থেকে ফের বিধানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরে তাকে সিউড়ি আদালতে তোলা হয়। সেখান থেকে আবার তাকে লালবাগ সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। রবিবার রাত আড়াইটে নাগাদ অসুস্থ বোধ করলে বিধানকে সিউড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তার। হাসপাতালের সুপার শোভন দে বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে বিষক্রিয়ার প্রভাবেই মৃত্যু হয়েছে ওই বন্দির।”