পাশাপাশি কয়েকটি বাড়িতে লুকিয়ে আছে দাগী দুষ্কৃতীরা। এই সন্দেহে তড়িঘড়ি গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে বাড়িগুলিকে চিহ্নিত করে এলাকায় হানা দেয় স্থানীয় পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের অতিসক্রিয়তায় দরজা খুলতে গিয়ে আহত হন বাড়ির বাসিন্দা এক যুবক। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ওই যুবককে বাঁচানো যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে হাবরা থানার বেরগুমে। মৃত যুবকের নাম চিত্তরঞ্জন সর্দার (৩৪)।
এলাকার বাসিন্দা এবং ওই যুবকের পরিবার সূত্রে খবর, আদতে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই যুবক বছর দশেক ধরে হাবরার বেরগুমে এক মহিলার বাড়িতে থাকতেন। দুষ্কৃতীরা ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে, এই সন্দেহে শুক্রবার রাতে বার বার ওই যুবকের ঘরের দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে হাবরা থানার পুলিশ। সেই সময় পুলিশের ধাক্কায় ঘরের মেঝেতে পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবক। এর পর পুলিশই তাঁকে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের অত্যাচারে যুবকের মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগে শনিবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হাবরা-বসিরহাট সড়ক অবরোধ করেন বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন বারাসতের এসডিপিও সুবীর কুমার চট্টোপাধ্যায় এবং জেলার ডিএসপি দূর্বার বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ববস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, মৃতের পরিবারের তরফে হাবরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, পুলিশের ধাক্কা খেয়ে আঘাত লেগে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy