ব্যাডমিন্টনে ভারতের ৩২ বছরের কমনওয়েলথ সোনার খরা মেটালেন পারুপাল্লি কাশ্যপ! রবিবার গ্লাসগোর এমিরেতস এরিনায় সিঙ্গাপুরের ডেরেক ওয়াংকে হারিয়ে ইতিহাস গড়লেন ২৭ বছরের এই হায়দরাবাদী। ১৯৭৮-এ কানাডায় প্রকাশ পাড়ুকোন এবং ১৯৮২-তে ব্রিসবেনে সৈয়দ মোদীর পরে কমনওয়লেথ গেমসের পুরুষ সিঙ্গলসে সোনা জিতে নজির গড়লেন তিনি। খেলার ফল ২১-১৪, ১১-২১, ২১-১৯।
চার বছর আগে দিল্লিতে ব্রোঞ্জ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাঁকে। এ দিন এক ঘণ্টারও বেশি সময়ের ম্যাচে স্নায়ুযুদ্ধেও জয়ী হলেন তিনি। ফাইনালের ওঠার টেনশন কাটিয়ে কেরিয়ারের সেরা জয় তুলে আনলেন বিশ্বের ২২ নম্বর কাশ্যপ। এর আগে লন্ডন অলিম্পিকের শেষ আটে ওঠা ছাড়া ২০১২-তে সৈয়দ মোদী গ্রাঁ প্রি প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছিলেন তিনি।
ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বীর নিখুঁত কোর্ট কভারেজকে ছাপিয়ে লড়াকু মানসিকতার জোরে ম্যাচ বের করে নেন কাশ্যপ। প্রথম গেমে ১৪-৮ পয়েন্টে এগিয়ে যান তিনি। কিন্তু কয়েকটি অসাধারণ স্ম্যাশের সাহায্যে টানা চারটি পয়েন্ট তুলে নেন ওয়াং। এর পরেই ওয়াংয়ের উপর পাল্টা চাপ সৃষ্টি করে গেম ১৮-১২ করেন কাশ্যপ। টানা সাত পয়েন্ট সংগ্রহ করে জাম্প স্ম্যাশের সাহায্যে প্রথম গেম জিতে নেন তিনি।
দ্বিতীয় গেমে নিজের স্ট্র্যাটেজি বদল করেন ওয়াং। এতে ফলও মেলে হাতেনাতে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই কাশ্যপের রক্ষণ ভেঙে ১১-৬ এগিয়ে যান ওয়াং। কাশ্যপের সার্ভিসের ভুল এবং ডাউন-দ্য-লাইন শটগুলি বাইরে পড়তে থাকায় দ্বিতীয় গেম জিতে ম্যাচে সমতা ফেরান তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী।
কোর্ট বদল করার পরে চূড়ান্ত সেটে আক্রমণাত্মক ভাবে শুরু করেন কাশ্যপ। তবে মজবুত রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ হওয়ায় দ্রুত ১১-৮ লিড নেন ওয়াং। এর পরে ধীরে ধীরে পয়েন্টের ব্যবধান কমাতে থাকেন কাশ্যপ। দর্শকদের তুমুল সমর্থনের মধ্যে ১৪-১৪ পয়েন্টে ফেরেন তিনি। এক সময় ১৯-১৬-তে এগিয়েও যান। মরিয়া চেষ্টা করে পয়েন্টের ব্যবধান কমালেও ওয়াংয়ের শেষ শট কোর্টের বাইরে পড়লে উল্লাসে ফেটে পড়েন কাশ্যপ।
ছবি: পিটিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy