অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিমা মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।
প্রত্যাশা মতোই ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় আবার তৃণমূল প্রার্থী হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রেও আবার প্রার্থী হয়েছেন প্রতিমা মণ্ডল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাকি দু’টি আসনে অবশ্য প্রার্থী বদল হয়েছে।
মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে এ বার আর প্রার্থী করা হয়নি বর্ষীয়ান তৃণূমল নেতা চৌধুরী মোহন জাটুয়াকে। তাঁর জায়গায় প্রার্থী হয়েছেন বাপি হালদার। মথুরাপুর ১ ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের সদিয়াল গ্রামের বাসিন্দা বাপি দু’বার কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের প্রধানের পদ সামলেছেন। বছর চল্লিশের বাপি স্নাতক। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অস্থায়ী কর্মী। তৃণমূলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতির পদ সামলাচ্ছেন অনেক দিন ধরে। সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ হন। এ দিন প্রার্থী ঘোষণার পরে সাগরে কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দেন বাপি।
তিনি বলেন, ‘‘দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা পালন করার চেষ্টা করব। ভোটে জিতলে সুন্দরবন এলাকায় নদী বাঁধ সংস্কার, মুড়িগঙ্গা নদীর উপরে সেতুর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করব।’’
প্রার্থী বদল হয়েছে যাদবপুর কেন্দ্রেও। ক’দিন আগেই যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর ইস্তফার খবর নিয়ে চর্চা শুরু হয়। এ বার আর তিনি এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে চান না বলে খবর রটে। এ দিন তাঁর জায়গায় আর এক অভিনেত্রী তথা যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এরপরেই ভাঙড় সহ বিভিন্ন জায়গায় সায়নীর নামে দেওয়াল লেখা শুরু হয়েছে। টালিগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় এ দিন সায়নী নিজেও দেওয়াল লেখেন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
ডায়মন্ড হারবারে দিন দু’য়েক আগে থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লেখা শুরু হয়েছে। এ দিন প্রত্যাশা মতোই তাঁর নাম ঘোষণা হয়।
জয়নগরের প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল গত দু’বার এই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। এ দিন নাম ঘোষণার পরে জয়নগরে এসে ধন্বন্তরী কালীমন্দিরে পুজো দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy