Sourced by the ABP
উত্তরের চার লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রার্থীদের মঞ্চে রেখে আজ, বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়িতে সভা করার কথা তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রার্থী ঘোষণার পরে বৃহস্পতিবারই অভিষেকের উত্তরবঙ্গে প্রথম প্রচার-সভা। সেখানে জলপাইগুড়ি ছাড়াও আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং দার্জিলিং লোকসভা আসনের দলীয় প্রার্থীদের উপস্থিত থাকার কথা।
তৃণমূল সূত্রের দাবি, যেখানে সভা হবে সেই ময়নাগুড়িতেই তৃণমূলের অন্দরে চলছে ‘চরম অসন্তোষ’। দলের এক পুর প্রতিনিধি তথা দীর্ঘদিনের নেতা টেন্ডার নিয়ে অভিযোগ তুলে দলের জেলা কমিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে জেলা সভাপতিকে চিঠি লিখেছেন। জেলার বিভিন্ন ব্লকেই নানা ‘দ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে আসছে ভোটের আগে। সে প্রেক্ষিতে জলপাইগুড়ি লোকসভা আসন বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার রূপরেখা অভিষেক ঘোষণা করবেন। অভিষেকের মূল আক্রমণ যে বাংলার বঞ্চনার হিসেব তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে থাকবে তার ইঙ্গিত বুধবারই জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ দিয়েছেন। ময়নাগুড়িতে ক্ষোভের ইঙ্গিত পেয়ে তা মেটাতে দলের নেতারা জরুরি বৈঠকে বসেছেন। দলের এক নেতার কথায়, “অভিষেকের সভাস্থল ময়নাগুড়িকে বেছে নেওয়াটা অনেকটা যেন প্রতীকী হয়ে গেল। ময়নাগুড়িতে গোষ্ঠী কোন্দলে এক দীর্ঘদিনের নেতা দল ছাড়ার উপক্রমও করেছেন।”
‘গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই’ ময়নাগুড়ি আসন গত বিধানসভায় তৃণমূলকে হারাতে হয়েছিল বলেও অনেকে দাবি করেন। যদিও তৃণমূল সূত্রের খবর, পিছিয়ে থাকার নিরিখে নয়, ময়নাগুড়িকে সভাস্থল হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ ভৌগোলিক অবস্থান। যেহেতু আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার থেকে শুরু করে দার্জিলিং জেলার নেতা-কর্মীরা আসবেন, সে কারণেই ময়নাগুড়িকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ, ময়নাগুড়ির অবস্থান মাঝামাঝি। জেলা তৃণমূল সভাপতি লেন, “চার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীরা মঞ্চে থাকবেন। বাংলা বিরোধী বিজেপি সরকারকে বিসর্জন দেওয়ার তিনি আহ্বান জানাবেন। তুলে ধরবেন বাংলার বঞ্চনা।” জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সন্দীপ ছেত্রীর দাবি, “ভিড়ের রেকর্ড হবে জেলায়।” শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি তপন দে বলেন, “বানারহাট, মালবাজার থেকে চা শ্রমিকরা-সহ সব ব্লক থেকে শ্রমিকেরা যাবেন।”
জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামীর কটাক্ষ, “তৃণমূল নিজেরাই যত চিৎকার করছে। মানুষের কথা শুনতে পাচ্ছে না। মানুষ মোদীকে চাইছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy