অধীর চৌধুরী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
‘ইন্ডিয়া জোটে’ থেকেও লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে একা চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ‘দূরত্ব’ সৃষ্টির দায় মমতার ঘাড়েই চাপালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
রবিবার বাগনানের বাইনানে কংগ্রেসের হাওড়া জেলা সম্মেলনে এসেছিলেন অধীর। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল নেত্রীর সামনে দু’টি বিকল্প ছিল। হয় সরাসরি এনডিএ-তে যোগ দেওয়া। নয়তো ‘ইন্ডিয়া’তে। কিন্তু তাঁর অবস্থা হয়েছে ‘জলে বাঘ আর ডাঙায় কুমিরের’ মুখে পড়ার মতো। কারণ, এনডিএ-তে গেলে উনি মুসলিম ভোট হারাবেন। ইন্ডিয়া-তে গেলে খোকাবাবু অর্থাৎ ভাইপোকে ইডি-র হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন না। উভয় সঙ্কটে পড়ে এখন দোষ দিচ্ছেন আমাকে। বলছেন, অধীর চৌধুরী তৃণমূলের সমালোচনা করছেন। তাই আমি ইন্ডিয়া জোটে যাচ্ছি না।’’
অধীরের প্রশ্ন, ‘‘ইন্ডিয়া জোট নামকরণ তো করেছিলেন আপনি (মমতা)। তা হলে এ রাজ্যে সেই জোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিক, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় আপনি পদে পদে বাধা দিলেন কেন?’’ যেখানে এই সম্মেলন হল, সেই বাইনান গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস বাম ও আইএসএফ জোট। ভিড় দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
বিজেপি এবং তৃণমূল— দু’দলই ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করে অধীর ছুঁয়ে যান সন্দেশখালি প্রসঙ্গও। সম্মেলনে আমতার প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র, জেলা কংগ্রেস সভাপতি পলাশ ভান্ডারী, জেলা কংগ্রেস নেতা হাফিজুর রহমান, অলোক কোলে প্রমুখ হাজির ছিলেন।
অধীরের অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘‘আমাদের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর ধর্মনিরপেক্ষতার কথা এ রাজ্যের মানুষ জানেন। অধীর যদি এত ধর্মনিরপেক্ষতার বড়াই করেন, তা হলে তাঁর নিজের এলাকা বহরমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির কাছে কংগ্রেস ২০২১ সালে হেরে
গেল কেন?’’
শ্রমিক অসন্তোষ
বাঁশবেড়িয়া: কাজ অপছন্দ হওয়ায় রবিবার সকালে ক্ষোভ জানালেন বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস জুট মিলের কয়েক জন শ্রমিক। এক শ্রমিকের কথায়, ‘‘আমরা যে ইউনিটে কাজ করতাম, এ দিন অন্য ইউনিটে কাজ দেওয়া হচ্ছে। এটা নিয়েই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। নেতাদেরও জানানো হয়েছে।’’ বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘সবটাই সিসি ক্যামেরায় নজরবন্দি করা আছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, আমরা জুট মিল চালাচ্ছি। যে ইউনিটে প্রয়োজন, সেখানেই কাজ করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy