বরুণ গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
বরুণ গান্ধীকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন অধীর চৌধুরী।
বিজেপি এ বার উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর থেকে ফের মেনকা গান্ধীকে প্রার্থী করলেও পিলিভিট থেকে তাঁর পুত্র বরুণকে প্রার্থী করেনি। তার পর থেকেই বরুণ এ বার কী করবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। এর মধ্যে বিদায়ী লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, “বরুণ গান্ধীর কংগ্রেসে আসা উচিত। উনি কংগ্রেসে আসলে আনন্দিত হব।” বরুণকে ‘দাবাং’ ও ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতা’ তকমা দিয়ে অধীর বলেছেন, তিনি আগে থেকেই জানতেন বরুণ গান্ধী বিজেপির টিকিট পাবেন না। কারণ বিজেপির দল ও সরকার পরিচালনা নিয়ে বরুণের মতভেদ ছিল। বরুণ শিক্ষিত, নিজস্ব ভাবমূর্তি রয়েছে। বিজেপি কখনও তাঁকে মন্ত্রিসভায় বা নেতৃত্বে সুযোগ দেয়নি। অধীর বরুণকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেও কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের হাই কমান্ড তথা গান্ধী পরিবারের দিক থেকে এমন কোনও ইঙ্গিত নেই। বরুণের যোগ দেওয়ার বিষয়ে কংগ্রেসের কারও সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হয়েছে, এমনও নয়। বরং সমাজবাদী পার্টি বরুণকে প্রার্থী করলেও করতে পারে। আবার বরুণ নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়াতে পারেন বলেও জল্পনা রয়েছে। যদিও বরুণের ঘনিষ্ঠ শিবির বলছে, বিজেপির টিকিট না-পেয়ে বরুণ আদৌ এ বার লোকসভা ভোটে লড়বেন কি না, সেটাই এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ তাঁর ধারণা ছিল, তিনি টিকিট পাবেন।
কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, গান্ধী পরিবারের অন্তর্কলহই মেনকার প্রথমে জনতা দল এবং তার পরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পিছনে প্রধান কারণ ছিল। বরুণ কংগ্রেসে যোগ দিলে তা গান্ধী পরিবারের স্তরেই সিদ্ধান্ত হব। কয়েক মাস আগে কেদারনাথ মন্দির চত্বরে আচমকাই রাহুল ও বরুণ গান্ধীর দেখা হয়েছিল। বরুণের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী যামিনী ও কন্যা অনসূয়া ছিলেন। তার আগে থেকেই বরুণ বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের বেশ কিছু নীতির সমালোচনা করেছেন। কিন্তু ভারত জোড়ো যাত্রার সময়ে রাহুল নিজে বরুণের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে বলেছিলেন, “উনি তো বিজেপির। ওঁর
সমস্যা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy