Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Rajeev Chandrasekhar

হলফনামায় সম্পত্তির ভুল তথ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর! তারুর, বিজয়নের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে কমিশন

সোমবার এই অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনের কাছে। তার পরই কমিশন সিবিডিটিকে নির্দেশ দিয়েছে চন্দ্রশেখরের হলফনামা খতিয়ে দেখার জন্য।

After Congress complaint, Election Commission to verify Union Minister\\\\\\\\\\\\\\\'s affidavit

(বাঁ দিকে) শশী তারুর, রাজীব চন্দ্রশেখর এবং পিনারাই বিজয়ন। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৫৬
Share: Save:

ভোটের আগেই বিপাকে পড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। কেরলের তিরুঅনন্তপুরম লোকসভা কেন্দ্র থেকে এ বার তাঁকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ভোটে লড়ার আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করা আয় এবং সম্পত্তির হিসাব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস এবং কেরলের সিপিএম নেতৃত্বাধীন শাসকগোষ্ঠী। সেই অভিযোগ পাওয়ার পর এ বার চন্দ্রশেখরের হলফনামায় দেওয়া আয় এবং সম্পত্তির খতিয়ান খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ (সিবিডিটি)-কে নির্দেশ দিল কমিশন।

উল্লেখ্য, নির্বাচনে লড়াই করার জন্য সমস্ত প্রার্থীকে তাঁর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে একটা হলফনামা জমা দিতে হয়। সেই হলফনামাতে জানাতে হয় প্রার্থীর আয় এবং তাঁর স্থাবর-অস্থাবর যাবতীয় সম্পত্তির পরিমাণ। মন্ত্রী চন্দ্রশেখর হলফনামায় জানান, স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৮ কোটি।

এ ছাড়াও চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন তাঁর একটি ‘ভিন্টেজ’ মোটরসাইকেল রয়েছে। সেই সঙ্গে আরও অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য তিন কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। বেঙ্গালুরুতে একটি অকৃষি জমি রয়েছে, তার আনুমানিক মূল্য ১৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।

সেই হিসেব প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তিরুঅনন্তপুরম আসনে চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে লড়ছেন কংগ্রেসের শশী তারুর। তিনি কমিশনে অভিযোগ করেন, চন্দ্রশেখর হলফনামায় আয় এবং সম্পত্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। কংগ্রেসের কথায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আয় এবং সম্পত্তি গোপন করেছেন। শুধু কংগ্রেস নয় একই অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দলও।

সোমবার এই অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনের কাছে। তার পরই কমিশন সিবিডিটিকে নির্দেশ দিয়েছে চন্দ্রশেখরের হলফনামা খতিয়ে দেখার জন্য। উল্লেখ্য, যদি সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে তাঁর কমপক্ষে ছ’মাসের জেল হতে পারে। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে বলা হয়েছে সব ভোটপ্রার্থীকে যাবতীয় সত্য তথ্য হলফনামায় জানাতে হবে। যদি এই আইন লঙ্ঘন হয় তবে কমপক্ষে ছ’মাসের কারাবাস হবে সংশিষ্ট প্রার্থীর।

যদিও চন্দ্রশখর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি বলেন, ‘‘আমি হলফনামায় যা প্রকাশ তা আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’’ ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী তারুর তাঁর হলফনামায় স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৫৫ কোটি টাকার সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE