—প্রতীকী চিত্র।
শেষ মুহূর্তে জলপাইগুড়ি লোকসভা আসন নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, সে রিপোর্ট জমা পড়ার পরে, জেলায় সমীক্ষা করতে এসেছে একটি পেশাদার সংস্থা। জেলা বিজেপি সভাপতি-সহ জেলার একাধিক পদাধিকারী এবং কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন পেশায় যুক্ত বাসিন্দাদের মতামত নিয়েছে সংস্থাটি। সূত্রের দাবি, এই সমীক্ষা রিপোর্টের উপরে নির্ভর করছে জলপাইগুড়ি আসনের প্রার্থিপদ। বিজেপির বাছাই করা জেলা নেতাদের কয়েক জনকে একান্তে বসিয়ে দীর্ঘক্ষণ প্রশ্ন করেছে সংস্থার প্রতিনিধিরা। জলপাইগুড়ির কয়েকটি গ্রামেও সমীক্ষা চালিয়েছে তারা। বাসিন্দাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘গত পাঁচ বছরে সাংসদকে কত দিন তাঁরা গ্রামে দেখেছেন,’ ‘ছবি দেখালে সাংসদকে চিনতে পারবেন কি’— এমনই সব প্রশ্ন। সূত্রের খবর, চা বলয়ে গিয়ে পথচলতিদের কাছে সাংসদের ছবি দেখিয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে, চেনেন কি না।
বিজেপি সূত্রের দাবি, জলপাইগুড়ি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জেলা বিজেপির তরফে পাঠানো হয়েছিল রাজ্যকে। রাজ্য সভাপতি সেই রিপোর্ট দিল্লিতে জমা দিয়েছেন। তার পরে ইজেলায় সক্রিয় হয়েছে পেশাদার সংস্থাটি। গত পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় তৃণমূল বিপুল জয় পেয়েছে। যদিও বিজেপি পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক ছাপ্পার অভিযোগ তুলেছিল। তার পরে ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনেও বিজেপির থেকে আসন কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল। দল সূত্রের দাবি, উপর্যুপরি এই দুই হারের জেরে, জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে জয় নিয়ে বিজেপির অন্দরে দ্বিধা বেড়েছে। সে কারণে পুরনো মুখকে দাঁড় করলে ‘প্রতিষ্ঠান-বিরোধী’ ক্ষোভের হাওয়া লাগতে পারে বলে আশঙ্কা দলের। তাই মুখ বদলানো যায় কি না, তা নিয়ে নাগাড়ে চর্চা চলছে।
একই সমীকরণে আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনেও প্রার্থী বদলেছে বিজেপি। সে ক্ষেত্রে অবশ্য প্রথম দফাতেই নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রের দাবি, আলিপুরদুয়ারের ক্ষেত্রে প্রার্থী পেতে অসুবিধে হয়নি। কারণ, আগে থেকেই মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে প্রার্থী করার প্রস্তুতি চলছিল। জলপাইগুড়ির ক্ষেত্রে বিকল্প মুখ নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি বিজেপি, দাবি সূত্রের। জলপাইগুড়ির ক্ষেত্রে নতুন মুখ কে হতে পারেন, বা হলে হিতে বিপরীত হবে কি না— সে সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ফের এক দফায় সমীক্ষায় পেশাদার সংস্থাকে নামিয়েছে
বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “বিজেপির প্রার্থী বাছাই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কৌতূহলের অন্ত নেই। বিজেপি সব সময়েই সকলের মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত নেয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy