—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে ছিনিয়ে আনতে হবে জয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রবিবার দিল্লিতে বিজেপির সভা হয়। সেখানে হাজির হয়েছিলেন কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গের একাধিক বিজেপি নেতা। ওই বৈঠকে বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে দলের একাধিক শীর্ষ নেতা
লোকসভা ভোটের প্রচারে জোর বাড়ানোর কথা বলেন। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির শিলিগুড়ি ক্লাস্টারের ইনচার্জ তথা কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। তিনি বলেন, ‘‘সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এ বার গোটা দেশে ৩৭০টির বেশি আসনের লক্ষ্য নিয়ে দল লড়াই করছে। সে জন্য প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ তথা কোচবিহারে আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করব। জয় ছিনিয়ে আনব।’’ তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘বিজেপি কোনও ভাবেই এ বার ক্ষমতায় ফিরবে না। আর উত্তরবঙ্গ এবং কোচবিহারে কোনও আসন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’’
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু'দিন ধরে দিল্লিতে বিজেপির ওই সভা হয়েছে।। যেখানে বার-বার উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের কথা। শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে শুরু করে সম্প্রতি সন্দেশখালির ঘটনায় মহিলাদের উপরে অত্যাচারের বিষয় নিয়েই সরব হন নেতারা। আর সেই সব বিষয়কে সামনে রেখেই প্রচার তুঙ্গে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে ১৮ টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গে নজরকাড়া ফল করে বিজেপি। আটটি আসনের মধ্যে সাতটি দখল করে বিজেপি। তার মধ্যে রয়েছে কোচবিহার। এ বার ওই আসনগুলি পাখির চোখ করে এগোচ্ছে বিজেপি। কিন্তু এ বারের পরিস্থিতি খানিকটা অন্য রকম।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরেই উত্তরবঙ্গে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেশির ভাগ জায়গায় জয় ছিনিয়ে নিয়ে বিজেপিকে খানিকটা হলেও কোণঠাসা করে শাসক দল। সে জন্য বিজেপিও এ বার অনেক সতর্ক। এই অবস্থায় এ বার ফের কোচবিহার থেকে অযোধ্যায় যাওয়ার জন্য দেওয়া হয়েছে বিশেষ ট্রেন। এ বার অবশ্য মাথাপিছু যাত্রীদের কাছ থেকে খরচের একটি অংশের টাকা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অলিপুরদুয়ার থেকে রওনা হবে ওই ট্রেন। তৃণমূলের দাবি, রামমন্দিরকে ভোটের কাজে ব্যবহার করে বেঁচে থাকতে চাইছে বিজেপি। বিজেপির কোচবিহার জেলার নেতা শুভাশিস চৌধুরী বলেন, ‘‘তেমন কোনও বিষয় নেই। ওই বিশেষ ট্রেনের যাত্রীদের জন্য সহায়তার কাজ করছি আমরা। এর মধ্যে রাজনীতি নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy