দিলীপ ঘোষ বর্ধমান খোসবাগান মেডিক্যাল মাঠে। ছবি: উদিত সিংহ।
মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের থানায় গিয়ে ডিউটি অফিসারকে ‘হম্বিতম্বি’ করার একটা ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। তার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ, বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ ওই সূত্র ধরে দলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অভিজিৎ তায়ের উদ্দেশে বলেন, “হয় ওদের (তৃণমূল) চমকাও, না হলে থানাকে চমকাও।” তৃণমূলের পাল্টা দাবি, এ সব করে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চায়ছে বিজেপি।
গত কয়েক দিন ধরে নানা জায়গায় তৃণমূল তাদের দেওয়াল মুছে দিচ্ছে, কোথাও পতাকা ছিঁড়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি। বুধবার রাতে কার্জন গেটেও পতাকা লাগানো নিয়ে দু’দলের হাতাহাতি হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের দিকে অভিযোগ তুলেছে। বর্ধমান মেডিক্যালে দু’জন ভর্তিও হন। বৃহস্পতিবার বর্ধমান ডেন্টাল কলেজে প্রাতর্ভ্রমণ করার সময় সেই বিষয়টি দিলীপকে বলছিলেন অভিজিৎ। তখনই দিলীপ বলেন, “থানা-পুলিশ করো। থানায় গিয়ে চিৎকার করতে হবে। চাপে রাখতে হবে পুলিশকে। ১০টা ছেলে গিয়ে থানায় চিৎকার করবে। হয় ওদেরকে (তৃণমূল) চমকাও, না হলে থানাকে চমকাও।”
তৃণমূলের ‘সন্ত্রাসের’ ছবি সবার সামনে তুলে ধরার জন্যও অভিজিৎকে বলেন দিলীপ। তাঁর কথায়, “এটা তো বাড়ির ব্যাপার নয়। কেউ একটা ঢিল মারল আর থানায় ফোন করে দিলাম। পাবলিক শো করতে হবে। রাস্তায়, থানায় চিৎকার করতে হবে। সে দিন দুর্গাপুরেও ঝামেলা করেছিল, থানা ঘেরাও হয়েছিল। আদর্শ আচরণ বিধি চালু রয়েছে। থানায় অভিযোগ করো। অভিযোগ না হলে চিৎকার করতে হবে।” এরপর তাঁর কটাক্ষ, “আপনারা ভাবছেন বাড়িতে বসে নেতা হয়ে যাব। ওখানে (মেদিনীপুর) অগ্নিমিত্রা রোজ পুলিশকে চমকাচ্ছে। কিছুই না জনগণ তো দেখছে। পুলিশ সারাজীবন চামচাগিরি করে যাবে?”
অভিজিৎ পুরোটাই চুপচাপ শোনেন। পরেও এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “আমরা ওই ভিডিয়ো ফুটেজ় দেখিনি। কী বলেছেন, জানি না। আদর্শ আচরণ বিধি চলছে। এ নিয়ে মন্তব্য করাটাও ঠিক হবে না।” তবে সমালোচনা করতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের রাজ্যের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস, “চমকানো-ধমকানো করে বর্ধমানে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে বিজেপি। আসলে এ সব হতাশার বহিঃপ্রকাশ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy