তোড়জোড় হয়েও হল না কংগ্রেস ও সিপিএমের আসন সমঝোতা নিয়ে প্রথম বৈঠক। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনেই বহরমপুরে গিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার তাঁর দেখা হয়নি। নিজের লোকসভা এলাকায় নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত সাংসদ তথা প্রদেশ সভাপতি অধীর মন্তব্য করেছেন, কেন বৈঠকের কথা সেলিম বলেছিলেন, তা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকই বলতে পারবেন! সেলিম অবশ্য বলেছেন, পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী দিন ও স্থান ঠিক করে শীঘ্রই বৈঠক হবে। আলোচনার প্রক্রিয়া শুরুতেই এমন ঘটনায় জোটের প্রশ্নে কংগ্রেসের মনোভাব ঠিক কী, সেই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক শিবিরে।
বহরমপুরে এ দিন সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে আইন অমান্য কর্মসূচিতে পুলিশের কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ হয়ে মৃত বাম সমর্থক আনারুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ডোমকল গিয়েছিলেন সেলিম। সূত্রের খবর, আবার বহরমপুরে ফিরে অধীরের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেই সুযোগ পাননি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আজ, শুক্রবার সন্দেশখালি যাওয়ার কথা। তাই তিনি বহরমপুরের বাইরে থাকবেন। সেলিমের আজ কলকাতায় দলীয় বৈঠক রয়েছে, তার পরে কয়েক দিনের জন্য তিনি যাবেন উত্তরবঙ্গ। অধীরের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ইতিমধ্যে আসন-রফার প্রশ্নে বামফ্রন্টে আলোচনা সেরে নেওয়া হবে বলে সিপিএম সূত্রের খবর। সেলিমের বক্তব্য, ‘‘বৈঠক এ দিন হয়নি। তবে অন্য দিন হবে। পারস্পরিক আলোচনা করে আমরা তারিখ ও স্থান ঠিক করব।’’
অন্য দিকে, অধীর কার্যত নস্যাৎ করার সুরে বলেছেন, ‘‘সেলিমকে জিজ্ঞেস করবেন, কী ভাবে ঘোষণা করেছিলেন! আমার জানা নেই!’’ এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ চাইছেন, ব্যক্তি স্তরে ছেড়ে না রেখে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনার প্রক্রিয়া চালানোর জন্য এআইসিসি একটা দল গড়ে দিক।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)