—প্রতীকী ছবি।
লোকসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতার লক্ষ্যকে সামনে রেখে বামফ্রন্টের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করে দিল সিপিএম। কংগ্রেস, আইএসএফের মতো দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করলে বামফ্রন্টের তরফে সব দলকেই কিছু ‘ত্যাগ’ করতে হবে, এই বার্তাই শরিকদের দেওয়ার চেষ্টা করছেন সিপিএম নেতৃত্ব। প্রাথমিক ভাবে শরিক দলগুলি অবশ্য নিজেদের আসনের ভাগ ছাড়তে নারাজ। এই বিষয়ে আরও আলোচনা চলবে বলেই ঠিক হয়েছে। পাশাপাশিই, কংগ্রেস সূত্রের খবর, বামেদের সঙ্গে সমঝোতার আলোচনা আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করার আগে আগামী ৩ মার্চ প্রদেশ নির্বাচন কমিটির বৈঠক ডাকা হচ্ছে। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা এআইসিসি-র প্রতিনিধিদেরও।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বুধবার বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং দলের আর এক পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র। ফ ব-র তরফে ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ফ ব নেতারা সিপিএমকে জানিয়েছেন, তাঁদের ভাগের তিন আসন থেকে কিছু ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। পক্ষান্তরে সিপিএম নেতৃত্বের যুক্তি, বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সব শক্তিকে একজোট করে লড়তে হলে সব দলকেই কিছু জায়গা ছাড়তে হবে অন্যদের জন্য। বাম সূত্রের ব্যাখ্যা, হার-জিতের চেয়েও শরিক দলগুলি নির্বাচন কমিশনের কাছে দলের স্বীকৃতি ধরে রাখা নিয়ে বেশি চিন্তিত। বিমানবাবুর নেতৃত্বে বামফ্রন্টের দল আজ, বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি যাচ্ছে। সদ্য জেল থেকে মুক্ত সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে নিয়ে সেলিমেরও ওই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সেখানে যাওয়ার কথা। অন্য দুই বাম শরিক আরএসপি এবং সিপিআইয়ের সঙ্গে সিপিএমের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে কাল, শুক্রবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy