ভোট কেন কমেছে, দেখতে নিজেই মাঠে নামলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ। নিজস্ব চিত্র।
গত লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্তত ১২৫টি বুথে ভোট দানের হার ছিল বেশ কম। তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর। বৃহস্পতিবার মাঠে নামলেন জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক বিজিন কৃষ্ণ। যে সব বুথে ভোট-হার কম ছিল, এ দিন তিনি সে সব বুথে যান। কথা বলেন কাঁটাতারের ও পারে থাকা ভোটারদের সঙ্গেও।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট পড়ে গড়ে ৮৩ শতাংশ। কিন্তু হরিরামপুর ব্লকের কলাইবাড়ি ফাঁসিয়াবাদ বুথে ভোট পড়েছিল ৬৩ শতাংশের একটু বেশি। এ দিন ওই বুথে যান জেলাশাসক। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, এলাকার বেশিরভাগ পুরুষ বাইরে কাজ করতে যান। বালুরঘাট এবং কুশমণ্ডির দু’টি করে বুথ ছাড়া, কম ভোট দানের বুথ বেশির ভাগই হরিরামপুরে।
জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে খবর, ওই ব্লকের অন্তত আটটি বুথে ৭০ শতাংশ নীচে ভোট পড়ে গত লোকসভায়। প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার এ সব বুথ ‘মাথাব্যথার’ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসনে। জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের ওই তথ্য নিয়ে একটি সমীক্ষা জেলা নির্বাচন দফতর থেকে করা হয়েছে। তাতে উঠে এসেছে, হরিরামপুর ব্লকের কিছু এলাকায় ভোট বয়কট হয়েছিল ব্লকের প্রশাসনিক কেন্দ্র বদলের দাবিতে।
কেবল তা-ই নয়, কুমারগঞ্জ ও কুশমণ্ডির বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা বাইরে থাকেন, বলেও সেই সব বুথেও ভোট পড়ে কম। জেলাশাসক বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে এই কারণগুলি উঠে এসেছে। এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখতে চেয়েছি, রিপোর্টের সঙ্গে বাস্তবের মিল কতটা।’’ একই সঙ্গে ভোট দান নিয়ে সচেতনতা রয়েছে কি না, ভোটার পরিচয় পত্র রয়েছে কি না—এ সবও খতিয়ে দেখা হয়। পাশাপাশি, ভোটের দিন যাতে সকলেই ভোট দেন, সে কথাও এলাকাবাসীকে বলা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy