১০ বছর ধরে তিনি মথুরার সাংসদ। এখন ‘ব্রজবাসী’-ই হয়ে গিয়েছেন তিনি। দাবি করলেন মথুরার বিদায়ী সাংসদ হেমা মালিনী। আর সেই সঙ্গেই কংগ্রেসের ‘বহিরাগত’ অভিযোগকে একহাত নিলেন বিজেপি সাংসদ।
মন্দির নগরী মথুরায় কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন মুকেশ ধাঙ্গার। প্রচারে তিনি বার বার জানিয়েছেন, এ বার মথুরা লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই হচ্ছে ‘ব্রজবাসী’ এবং ‘প্রবাসী’-র মধ্যে। হেমা মালিনীকে তিনি ‘প্রবাসী’, ‘বহিরাগত’ বলে কটাক্ষ করেছেন। হেমা পাল্টা জবাব দিয়েছেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘গত ১০ বছরে আমি ব্রজবাসী হয়ে গিয়েছি। আর আমি শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত। তাই এমনিতেও ব্রজবাসীই। এখানে যে কাজ করেছি, তার জন্য গর্বিত। আমি এখানকারই।’’
এখানেই থামেননি হেমা। এ-ও জানিয়েছেন যে, আসলে বহিরাগতরাই ভাল কাজ করে। তাঁর কথায়, ‘‘যদি আমায় বহিরাগত ভাবেন, তা হলে বলছি, বহিরাগতেরা বেশি ভাল কাজ করে। যাঁরা এখানে থাকেন, অনেক সময়ই বোঝেন না, কোনটা ভাল, কোনটা খারাপ, কোনটা আরও ভাল হতে পারে। যে হেতু আমরা বাইরের, আমরা অনেক বেশি পর্যবেক্ষণ করতে পারি। অনেক অভিজ্ঞতা আমাদের। মন্ত্রীদের সাহায্যে এখানকার মানুষদের জন্য অনেক কিছু করেছি।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, মুম্বই থেকে মথুরায় যাতায়াত এখন অভ্যাস হয়ে গিয়েছে তাঁর। তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে পৌঁছতে আট ঘণ্টা লাগে। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মতো এ রকম কেউ করবে না। মথুরার প্রতি আমি নিবেদিত।’’
২০১৪ সালে প্রথম বার মথুরা থেকে জিতেছিলেন হেমা। রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি)-এর জয়ন্ত চৌধরিকে তিন লাখ ভোটে হারিয়েছিলেন। আরএলডি এখন এনডিএ-র জোটশরিক। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে এই চৌধরিই বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘আমি হেমা মালিনী হতে চাই না।’’ আর এখন তাঁর দল মথুরায় হেমার হয়েই প্রচার চালাবেন। এই প্রসঙ্গে হেমা বলেন, ‘‘অতীতে আমি চৌধরির হয়ে প্রচার করেছিলাম। তিনি জিতেছিলেন। তার পর আমরা মুখোমুখি লড়াই করেছি। এ বার তিনি আমার হয়ে প্রচার করবেন।’’