সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা হয়ে যেতে পারে বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা। কিন্তু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পদ্ম প্রতীকে কারা লড়বেন? এই উত্তর নির্ধারিত হবে পাঁচ মাপকাঠি ও দুই সমীক্ষার ফলাফলে। সূত্রের খবর, যার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির কাছে। কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি তা চূড়ান্ত করে পর্যায়বে সংসদীয় বোর্ডের কাছে। তারাই প্রার্থী-পদ চূড়ান্ত করবে।
বিজেপি সূত্রে খবর, প্রার্থী বাছাইয়ে মূলত পাঁচটি মাপকাঠিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সংগঠনে প্রার্থীর ভূমিকা, তাঁর অবমূর্তি, এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা, সরেঘর মত ও জয়ের সম্ভবনা। এ ছাড়াও, প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্র ধরে দু’টি সমীক্ষা চলছে। একটি রাজ্যের। যেখানে সমীক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতারা। তাঁদের মধ্যে অনেকে মূল স্রোতের রাজনীতিতে না থাকলেও অতীতে বাংলায় রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা আছে। তাঁরা বিভিন্ন জেলায় কর্মীদের ফোন করে তাঁদের 'মন কি বাত' জানতে চাইছেন। প্রত্যেকের থেকে সেই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য অন্তত দু'-তিনটি নাম তাঁরা জেনে নিচ্ছেন। সেই অনুযায়ী তাঁরা রাজ্য নেতৃত্বকে রিপোর্ট দিচ্ছেন। দ্বিতীয় সমীক্ষাটি চলছে কেন্দ্রীয় ভাবে। কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে পেশাদার সমীক্ষক দল প্রতি কেন্দ্রের জন্য রিপোর্ট তৈরি করছেন। এই সব কিছুর উপর নির্ভর করেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে। বিজেপি সূত্রের খবর, এমন বেশ কিছু আসন আছে, যেগুলিতে সরাসরি দলীয় প্রার্থী না দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রের কিছু সফল মানুষকে প্রার্থী করলে জয়ের সম্ভাবনা বাড়তে পারে বলে দলীয় নেতৃত্ব মনে করছেন। সেই আসনগুলিতে কারা প্রার্থী হবেন, তা সরাসরি ঠিক করবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই সূত্রেই চমক থাকতে পারে আসানসোল আসনে। সেখানে বলিউডের প্রথম সারির এক গায়ক প্রার্থী হতে পারেন বলে দলের অন্দরে চর্চা চলছে। বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা আসনের বিষয়ে। বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকায় প্রাক্তন আমলা থেকে সেনা আধিকারিক, বলিউড, টলিউড থেকে ক্রীড়া ক্ষেত্রেরও কিছু সফল মুখের থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
পাশাপাশি বাদ যেতে পারে বর্তমান কয়েক জন সাংসদের নাম। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ ও মালদহ উত্তর আসনে প্রার্থী বদলের সম্ভবনা রয়েছে বলে বিজেপির একটি সূত্রের খবর। প্রার্থী বদল হতে পারে রানাঘাট, বর্ধমান-দুর্গাপুর, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়াতেও।
যদিও রাজ্য বিজেপির প্রধন মুখপাত্র ও রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, 'এই নির্বাচনে এক জনই প্রাসঙ্গিক। তিনি নরেন্দ্র মোদী। আর স্থিতিশীল সরকার, গতিশীল অর্থনীতি, বিকশিত ভারত। আর কিছুই প্রাসঙ্গিক নয়। প্রার্থীরা এখানে নিনিত মাত্রা"
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)