পুরনো দাবি থেকে না সরায় তাদের সঙ্গে আসন সমঝোতার আশা কার্যত ছেড়ে দিয়েছে সিপিএম। দ্বিতীয় দফায় আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যে আরও কিছু আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে চলেছে আইএসএফ। প্রথম দফায় তারা ৮ কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। তার মধ্যে সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রার্থী আছে, এমন কিছু আসনও ছিল। আইএসএফের চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকী বুধবার বলেছেন, ‘‘ফুরফুরায় দলের প্রধান কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭টা নাগাদ আরও কিছু আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। জোট যদি কংগ্রেস-সিপিএম করতে না চায়, তা হলে বিজেপি ও তৃণমূলকে আটকাতে আমাদেরই লড়াই করতে হবে!’’
কংগ্রেস এবং সিপিএম অবশ্য তাদের সমঝোতাকে আরও পোক্ত করার দিকে নজর দিচ্ছে। কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে যৌথ প্রচারের সূচনা করেছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। এ বার সেই সমঝোতার বার্তাকে তৃণমূল স্তরে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেসের বড়বাজার সাংগঠনিক জেলার কর্মিসভায় এ দিন উপস্থিত ছিলেন কলকাতা উত্তরের কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুর-প্রতিনিধি সন্তোষ পাঠক, সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সংগ্রাম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। কর্মিসভা থেকে বাম-কংগ্রেস কর্মীদের একত্রে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে এক ইঞ্চিও জমি না ছাড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। দু’দলের নেতাদের বক্তব্য, এই নির্বাচন নিছক একটি রাজনৈতিক লড়াই নয়। দেশের সংবিধান, বহুত্ববাদ বাঁচানোর লড়াই। সেই সঙ্গে তাঁদের হুঁশিয়ারি, যাঁরা এই সমঝোতার বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাঁরা যত বড় নেতাই হোন না কেন, তাঁদের বিচ্ছিন্ন করতে হবে। সিপিএম ও কংগ্রেস নেতাদের দাবি, কলকাতা উত্তরে দুর্নীতিগ্রস্ত ও দলবদলু প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শুধু জোট-প্রার্থী প্রদীপই ‘নিষ্কলঙ্ক’।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)