নির্বাচনী প্রচারের জনসভা থেকে আজ ছুটি নিলেন নরেন্দ্র মোদী। গত ১৬ই মার্চ নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের ঘোষণা করার পর এখনও পর্যন্ত এটি তাঁর দ্বিতীয় ছুটি। প্রবল দাবদাহের মধ্যে গত দু’মাসের সামান্য বেশি সময়ে তাঁকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শোটির মতো জনসভা করতে দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ দিনে গড়ে তিনটি করে। এ ছাড়া করেছেন বহু রোড শো। বিভিন্ন বৈদ্যুতিন চ্যানেল এবং সংবাদপত্র মিলিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন একশোটির কাছাকাছি। এক এক দিনে একাধিক রাজ্যে চপারে সফর করে বক্তৃতা দিয়েছেন মোদী। কখনও জনসভার আগে বা পরেও রোড শো করেছেন।
চুয়াত্তর বছর বয়স সত্ত্বেও প্রচারের ক্ষেত্রে তাঁর এই ক্লান্তিহীন ধারাবাহিকতা বিস্মিত করেছে রাজনৈতিক শিবিরকে। প্রতিদিনই একই ভাবে একই বিষয় নিয়ে ক্লান্তিহীন ভাবে কংগ্রেস তথা বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন মোদী। গত কালও মির্জাপুর-সহ উত্তরপ্রদেশের তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় দু’ঘন্টা (সব মিলিয়ে) কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কখনও উচ্চস্বরে, কখনও খাদে নামিয়ে, কখনও জনতার উল্লাসের ফাঁকে কণ্ঠকে বিশ্রাম দিয়ে তাঁর এই প্রচারের কৌশল এগিয়েছে। আজ তাই তাঁর প্রচারে অনুপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা গেল কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশকে। তিনি বলেছেন, “মনে হচ্ছে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচার থেকে ছুটি নিয়েছেন। এটা ঈশ্বরের দয়া, কয়েক ঘণ্টা অন্তত মিথ্যার মহামারির থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।”
তবে আজ প্রচারে না যোগ দিলেও আগামিকাল থেকে শেষ পর্বের জন্য ফের ঝাঁপাতে দেখা যাবে মোদীকে। মঙ্গলবার দু’টি রাজ্যে তিনটি জনসভা করবেন তিনি। একটি ঝাড়খন্ডের গোড্ডায়, অন্য দু’টি পশ্চিমবঙ্গে। আবার কাল সন্ধ্যাবেলাই উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে রোড শো রয়েছে তাঁর। পরের দিন অর্থাৎ ২৯ তারিখ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে জনসভা করবেন। শেষ করেই চলে যাবেন ওড়িশা। সেখানে বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ এবং কেন্দ্রাপড়ায় তিনটি জনসভা নির্ধারিত রয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)