Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Cyclone Remal

শহরে ভোট প্রচারে মোদী-মমতা, রাজনৈতিক কর্মসূচির আগে ‘রেমাল’ ঘূর্ণিঝড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় কলকাতা পুরসভা

শনিবার ‘রেমাল’ ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পুর কমিশনার বোরোভিত্তিক ভিডিয়ো কনফারেন্স করে গাছ কাটার মেশিন থেকে শুরু করে জেসিবি, পাম্প-সহ একাধিক বিষয়ে দ্বিগুণ বা তিন গুণ বন্দোবস্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

Kolkata Municipal Corporation is worried about Ramel cyclone ahead of Prime Minister Narendra Modi and Chief Minister Mamata Banerjee\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s political programme

(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৪ ২১:১৫
Share: Save:

২৮ মে উত্তর কলকাতায় ভোটের প্রচার করতে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন তিনি কলকাতার রাজপথে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়কে নিয়ে রোড-শো করবেন। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাদবপুর, বেহালা এলাকায় আগামী কয়েক দিনে তাঁর প্রচার কর্মসূচি করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তার কোনওটি জনসভা, কোনওটি আবার মিছিল। দেশের দুই বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কর্মসূচি নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় পড়েছে কলকাতা পুরসভা। কারণ, রেমাল ঘূর্ণিঝড়।

আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল কলকাতার। এক হাজারের বেশি গাছ পড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে হোর্ডিং ও বিদ্যুতের তার নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল। তেমন পরিস্থিতি হলে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি ব্যাহত হতে পারে বলেই মনে করছে তারা। তাই ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আগে থেকেই পদক্ষেপ করতে চাইছেন পুরসভার শীর্ষ আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার পুরসভার শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার সমস্ত বিভাগের ডিজিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন পুর কমিশনার ধবল জৈন। এ ছাড়াও গত দু’-তিন দিনে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিভাগভিত্তিক বৈঠক হয়েছে।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

কলকাতা পুরসভার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘সপ্তম দফা ভোটের আগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের ভিড় কলকাতায়। কারণ, দেশের সব বড় শহরের ভোট হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় তাঁরা প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ভোটের প্রচার দেখতে শহরে আসবেন। সেই পরিস্থিতিতে যদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে ভেঙে পড়া একটি শহরের চিত্র দেখতে পান, তা কলকাতাবাসীর কাছে কখনও ভাল লাগার বিষয় হবে না। তাই আমরা ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়েই যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলেছি।’’ শনিবার রেমাল ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পুর কমিশনার বোরোভিত্তিক ভিডিয়ো কনফারেন্স করে গাছ কাটার মেশিন থেকে শুরু করে, জেসিবি, পাম্প-সহ একাধিক বিষয়ে দ্বিগুণ বা তিন গুণ বন্দোবস্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

পুরসভার এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা রাজনীতির অংশ নই। কিন্তু যদি প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভোটের প্রচার করতে না পারেন, তা হলে বিষয়টা রাজ্যের পক্ষে ভাল হবে না। তাই আমরা গাছ, হোর্ডিং, ভেঙে পড়া পোস্ট দ্রুত সরাতে যেমন বন্দোবস্ত রাখছি, তেমনই আবার মাথায় হোর্ডিং পড়ে বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাতে কেউ মারা না যান, সে দিকেও নজর রাখছি।’’ কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বিদ্যুৎ সংযোগকারী সংস্থা সিইএসসি আবার থানাভিত্তিক ভাবে নিজেদের ‘গ্যাং’ পুরসভার জন্য মোতায়েন করে রেখেছে। কোনও এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিপত্তি দেখা দিলে যাতে দ্রুত ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দ্রুত পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা যায়, সেই ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE