মশাটের জনসভায় অমিত শাহ। ছবি: দীপঙ্কর দে।
বাংলায় ভোট প্রচারে তাঁর মুখেও সংস্কৃতির কথা।
শ্রীরামপুরের বিজেপি প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসুর সমর্থনে মশাটে চণ্ডীতলা ১ বিডিও কার্যালয়ের উল্টো দিকের মাঠে বুধবার নির্বাচনী জনসভায় সেই কথাই শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন থেকে সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক হাজার দেশে’, দক্ষিণেশ্বর থেকে স্থানীয় চণ্ডীতলার চণ্ডীমাতা স্মরণ বাদ গেল না তাঁর ভাষণে। শ্রোতাদের মুষ্টিবদ্ধ হাত মাথার উপর তুলে এই রাজ্য থেকে ৩০টি আসনে জেতার সঙ্কল্পের কথাও ফের মনে করালেন।
নির্ধারিত সময়ের খানিকটা পরে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সভায় আসেন অমিত। শ্রীরামপুরে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও রীতিমতো খোঁজখবর নিয়েই মঞ্চে উঠেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের ‘নম্বর টু’। মাস কয়েক আগে দিল্লিতে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরের ‘মিমিক্রি’ (নকল) করেছিলেন কল্যাণ। সারা দেশেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। বুধবার সেই প্রসঙ্গ টেনে অমিত শাহ শিষ্টাচারের প্রশ্ন তোলেন। বলেন, ‘‘আপনারা কাকে ভোট দেবেন? যিনি কোনও শিষ্টাচারের ধার ধারেন না, তাঁকে? সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা এক জন মানুষের মিমিক্রি করেন! আর আমাদের প্রার্থী, যিনি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে খুন হওয়া ৫৩ জনের জন্য ন্যায় বিচার চাইতে সুপ্রিম কোর্টে
মামলা করেন, সেই যুবককে আপনারা ভোট দেবেন।’’
ততক্ষণে কবীরশঙ্কর গদগদ ভঙ্গিতে দর্শকদের সামনে হাত
জোড় করে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। এখানে ২৫ মিনিট বক্তব্য পেশ করে হেলিকক্টারে পরবর্তী গন্তব্যে উড়ে
যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কল্যাণকে নিয়ে অমিত শাহের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা তৃণমূল মুখপাত্র স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভোট প্রচার কোনও ব্যক্তিবিশেষকে নিয়ে আলোচনার জায়গা নয়। উনি রাজ্যের বকেয়া টাকা নিয়ে কী পদক্ষেপ করছেন, সেই উত্তর মানুষকে দিলেন না তো! আমাদের রাজ্য থেকে ৬ লক্ষ কোটি টাকা কর বাবদ তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই অর্থে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশের চাষিদের ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছেন? এই রাজ্যের চাষিরা ভোটেই উত্তর দেবেন বিজেপিকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy