শিল্প ও কলকারখানার জন্য ‘প্রাচ্যের শেফিল্ড’ হিসেবে হাওড়ার একসময়ের পরিচিতি নিয়ে রবিবার বিকেলে সাঁকরাইলে এসে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার ঘণ্টাখানেক আগে এই জেলারই আমতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, উলুবেড়িয়ায় ইতিমধ্যে বহু শিল্প হয়েছে। আরও দু’টি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব’ তৈরি হবে।
উলুবেড়িয়ার তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদের সমর্থনে আয়োজিত আমতা ফুটবল মাঠের ওই জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দু’টি হাব তৈরি হলে লক্ষাধিক বেকারের কর্মসংস্থান হবে। হাওড়া এবং উলুবেড়িয়ায় এত শিল্প হয়েছে, সে সব বলতে গেলে অন্য বিষয় বলার সময় পাওয়া যাবে না।’’ এ কথা বললেও মমতা অবশ্য উলুবেড়িয়ায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টার, আইটিসি পার্ক, আমাজ়ন লজিস্টিক হাব, জরি হাব, শাটল কক হাব তৈরির কথা তোলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর ওই দাবি নিয়ে সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সাবিরুদ্দিন মোল্লা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী শাটল কক হাবের কথা বললেও তার অস্তিত্ব রয়েছে খাতায়-কলমে। উলুবেড়িয়ায় নয়, জরি হাব হয়েছে সাঁকরাইল ফুড পার্কে। তাও সেটি ব্যর্থ। তালিকার বাকি নামগুলির বেশিরভাগেরই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বা চালু হয়েছিল বাম আমলে।’’ বিজেপি নেতা রমেশ সাধুখাঁ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যা-ই বলুন না কেন, উলুবেড়িয়ায় শিল্পের পরিস্থিতি খুব করুণ।’’ উলুবেড়িয়ায় কংগ্রেস প্রার্থী আজহার মল্লিকের আবার অভিযোগ, ‘‘এখান বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকদের ন্যূনতম প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না।’’
মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের জনসভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর আসেন বেলা আড়াইটে নাগাদ। বেলা ১১টা থেকেই মাঠে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা আসতে থাকেন। জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উলুবেড়িয়া উত্তরের বিধায়ক নির্মল মাজির দাবি, ‘‘এটা লক্ষ্মীর ভান্ডারের সাফল্য।’’
মুখ্যমন্ত্রী ২৫ মিনিট বক্তব্য পেশ করেন। তারপরে মঞ্চে শুরু হয় আদিবাসী নাচ। নাচের সঙ্গে গান গাইতে থাকেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। নাচে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রার্থী সাজদা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)